চুয়েটের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন পুরকৌশল বিভাগ

‘নবযৌবনে উদ্ভাসিত হোক যুক্তির বিজয় উল্লাস’— এই স্লোগানকে সামনে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) অনুষ্ঠিত হল তিনদিনব্যাপী আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা।

চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে এবং এশিয়ান টেকনোলজিস লিমিটেডের সার্বিক সহযোগিতায় গত ২৩-২৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হলো ‘এটিএল- চুয়েটডিএস ১৫ তম আন্তঃবিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা।

এবারের প্রতিযোগিতায় ১২টি বিভাগ থেকে মোট ২৮টি টিম অংশগ্রহণ করেছিলো। এদের মধ্যে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিভিল ইঞ্জনিয়ারিং(পুরকৌশল) বিভাগ থেকে টিম সেন্ট্রয়েড এবং রানারআপ হয়েছে পেট্রোলিয়াম এবং মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে টিম কোয়ার্টজ। চ্যাম্পিয়ন টিম সেন্ট্রয়েডের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন তুলি, সায়মা এবং রমিজ এবং টিম কোয়ার্টজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আলিফ, ফারিহা, তাবাচ্ছুম।

অনুভূতি ব্যক্ত করে বিজয়ী দলের হামিদা মান্নান তুলি বলেন, বিতর্ক বরাবরের মতোই আমার খুব পছদের একটি বিষয়। ভার্সিটি লাইফে প্রথমবার আন্তঃবিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছি। একই সাথে নিজের ডিপার্টমেন্টের (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি অনেক গর্ববোধ করছি।

তিনদিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার প্রথম দিন ছিল বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং দ্বিতীয় দিন ছিল প্রাথমিক এবং নক আউট পর্বগুলো। তৃতীয় দিন সকাল থেকে ছিলো বাংলা বারোয়ারি বিতর্ক এবং ইংলিশ পাবলিক স্পিকিং প্রতিযোগিতা। বাংলা বারোয়ারি বিতর্কে প্রথম হয়েছে যন্ত্রকৌশল বিভাগের শায়লা শাহরিন সিগ্ধা এবং তড়িৎ ও তাড়িত কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় ফুয়াদ ইকবাল। ইংলিশ বিতর্কে প্রথম হয়েছে নুজহাত মোবাশ্বিরা ও দ্বিতীয় শায়লা শাহরিন সিগ্ধা।

অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনে ছিলো সমাপনী অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সাথে ছিল জমকালো আতশবাজির প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ছাত্রকল্যান অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হুমায়ূন কবির এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রকল্যাণ ড. রেজাউল করিম বলেন, চুয়েটে সৃজনশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি(ডিএস) কে ধন্যবাদ জানাই এবং করোনাকালীন দীর্ঘ সময়ের পর আবার অফলাইন প্রোগ্রাম শুরু হওয়ায় আমি আনন্দিত। একই সাথে আমি মাদকমুক্ত চুয়েট ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে চুয়েট ডিএস সকল সংগঠনকে অবদান রাখার জন্য অনুরোধ করছি।

চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সৌম্য স্বরাজ বলেন, চুয়েট ডিএস সবসময়ই সৃজনশীল কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। মননশীল বিতার্কিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তৈরীর পথে এই অনুষ্ঠান একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো চুয়েট সাংবাদিক সমিতির চুয়েটনিউজ২৪.কম। লজিস্টিক পার্টনার হিসেবে ছিল নভেলটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স লিমিটেড।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!