মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে তরিকত ৪ প্রস্তাব দিল রাষ্ট্রপতিকে

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ির সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে চলমান সংলাপের চার দফা দাবি দিয়েছেন। চতুর্থ দিনে নির্বাচন কমিশনে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী বা তার পরিবারবর্গের কাউকে না রাখার প্রস্তাবসহ চার দফা প্রস্তাবনা নিয়ে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে মিলিত হন তাঁর নেতৃত্বাধীন সংগঠনটি।

বিটিএফের নেতারা বলেন, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ সংবিধানের ১১৮ (১) এ নির্বাচন কমিশন আইনের কথা উল্লেখ থাকলেও বিগত কোন সরকারই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন করা দরকার।

বিটিএফ চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি বলেন, অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটিতে গণমাধ্যমের একজন প্রতিনিধিসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরকে অন্তর্ভুক্ত করার ও প্রস্তাব দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনে যাতে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী বা তাদের পরিবারবর্গের কাউকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া না হয় সে দাবি দিয়েছি।

বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম দিনে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাথে সংলাপে বসে রাষ্ট্রপতি হামিদ। এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!