চিনিতে ফের কারসাজি : মীর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম আটক

চিনির দামে কারসাজির অপরাধে আবারো ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আটক হলো মীর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালাম। ঈদকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের চাহিদাকে পুঁজি করে পুনরায় চিনির দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তোলার চেষ্টা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ সোমবার দুপুরে হানা দেয় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতকে সহায়তা করেন র‌্যাব।

mir

অভিযানে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে কারসাজির প্রমান পেয়ে মীর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালামকে আটক করা হয়। তবে বিস্তারিত বিষয় পরে জানানো হবে উল্লেখ করে ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান বলেন, এর আগে ৮ জুন অভিযান চালিয়ে মীর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও সেলস ম্যানেজার জানে আলমকে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত।

 

এছাড়া আদালতকে অসহযোগিতা করায় হিসাব সহকারী মফিজুল হক ও সজল সেনগুপ্তকে এক সপ্তাহ করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে মীর গ্রুপের অফিস সিলগালা করে দেয়া হয়েছিল। ওই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন নথিপত্র ঘেটে আদালত দেখতে পায়, তারা কর্ণফুলীর ওপারের একটি চিনি কারখানা থেকে ৪৬ টাকা ৮০ পয়সায় চিনি কিনে পাইকারি বাজারে ৫৮ টাকা ৫০ পয়সা বিক্রি করছিল।
a-95
অভিযানের পর ৫০ টাকায় চিনি বিক্রি করেছিল পাইকারি বাজারে। এর পর ট্রেড লাইসেন্স, হালনাগাদ ট্রেড লাইলেন্স ইত্যাদি শর্ত জুড়ে দেওয়ার পর সর্বশেষ চিনির সঙ্গে নির্ধারিত পরিমাণ ভোজ্য তেল কিনতে বাধ্য করা হচ্ছিল পাইকারদের। এ নিয়ে অসন্তোষ যেমন দেখা দিয়েছে তেমনি বেশি দামে চিনি বিক্রির প্রমাণও পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারা দুই টাকা লাভে চিনি বিক্রির মুচলেকা দেন। এছাড়া আটক দুই কর্মচারী মফিজুল হক ও সজল সেনগুপ্তকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 

চিনির বাজার কারসাজির দায়ে প্রথমবার অর্থদণ্ড দিয়ে পার পেয়ে ফের কারসাজিতে লিপ্ত থাকার দায়ে মীর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালামকে অাটক করা হয় এবং কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট।

 

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!