চট্টগ্রাম মেডিকেলে রোগীদের সাড়ে তিন লাখ টাকার ওষুধসহ দুই কর্মচারী ধরা

যে ওষুধ রোগীদের দেওয়ার কথা বিনামূল্যে, সেই ধরনের প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার ওষুধসহ গ্রেপ্তার করা হল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চমেক হাসপাতালের গোলচত্বর থেকে ওই দুজনকে রোগীদের জন্য বরাদ্দ বিনামূল্যের ওষুধসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেলে রোগীদের সাড়ে তিন লাখ টাকার ওষুধসহ দুই কর্মচারী ধরা 1

গ্রেপ্তার দুজনের একজন চমেক হাসপাতালের ২৬ নং ওয়ার্ডে কর্মরত স্থায়ী কর্মচারী। তার নাম আশু চক্রবর্তী (৩৫)। গ্রেপ্তার হওয়া অপরজন মো. সৈয়দ (৬২) কাজ করছিলেন আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেলের স্টোর অফিসার ডা. মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

এদিকে এই ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মতিউর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের এই তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আউটসোর্সিং স্টাফ সৈয়দ আহমেদ একটি ব্যাগ নিয়ে ওয়ার্ড থেকে হাসপাতালের মূল ফটক দিয়ে বের হওয়ার সময় আনসার সদস্যরা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আশু চক্রবর্তী দৌড়ে পালানোর সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকেও ধরে ফেলে।

এ সময় আশু চক্রবর্তী ও মো. সৈয়দ নামের ওই দুই কর্মচারীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়, যার মূল্য প্রায় এক লাখ ১০ হাজার টাকা। পরে আশু চক্রবর্তীর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আরও দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ। এই সব ওষুধই হাসপাতালের রোগীদের জন্য বরাদ্দ বিনামূল্যের ওষুধ।

দীর্ঘদিন ধরেই রোগীদের জন্য বরাদ্দ বিনামূল্যের ওষুধ চমেক হাসপাতালেরই আশেপাশের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতালের কর্মচারী ছাড়াও এতে আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে— এমন সন্দেহ করছে পুলিশও।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!