চট্টগ্রাম বন্দরে ঈগল ট্রেন চালুতে সক্ষমতা যাচাইয়ে চুক্তি

এক ইয়ার্ড-টার্মিনাল থেকে অন্য ইয়ার্ড-টার্মিনালে কন্টেইনার পরিবহনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ঈগল ট্রেন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। এর সক্ষমতা যাচাইয়ে স্টাডি করবে আমেরিকান কোম্পানি ঈগল রেল কন্টেইনার লজিস্টিক। এ লক্ষ্যে কোম্পানিটির সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে বন্দর ভবনে ‘চিটাগাং ঈগল রেল ওভারহেড কনভেয়ার সিস্টেম’ শীর্ষক এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চবকের পক্ষে বন্দর চেয়ারম্যন রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ এবং ঈগল রেল কন্টেইনার লজিস্টিকসের পক্ষে কোম্পানির চেয়ারম্যান মাইক উইচকি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় ঈগল রেল কন্টেইনার লজিস্টিকসের সিইও স্কট হার্পার, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং) সানিয়া আরউন, কসমস গ্রæপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ খান, উপদেষ্টা প্রকৌশলী নাজমুল হক, পরিচালক (মার্কেটিং) সামায়াল হাসান, চবক সদস্য (অ্যাডমিন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম, পরিচালক (প্রশাসন) মোমিনুর রশিদ চৌধুরী, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল হক, উপসচিব মো. আজিজুল মাওলা উপস্থিত ছিলেন।

উপসচিব মো. আজিজুল মাওলা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে এক ইয়ার্ড বা টার্মিনাল থেকে অন্য ইয়ার্ড বা টার্মিনালে ঈগল ট্রেন চালু করা যাবে কি না এ ব্যাপারে স্টাডি করবে ঈগল রেল কন্টেইনার লজিস্টিকস। তিন মাসের মধ্যে তারা রিপোর্ট দেবে। প্রাথমিকভাবে নিউমুরিং টার্মিনাল থেকে ওভারফ্লু ইয়ার্ড পর্যন্ত ট্রেন চালু বিষয়ে স্টাডি করা হবে। পরে এছহাক ব্রাদার্স পর্যন্ত তা নিয়ে যাওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ ট্রেন চলে রেললাইনের উপর দিয়ে। কিন্তু ঈগল ট্রেন চলবে ঝুলন্ত অবস্থায়। এই ট্রেন চালু হলে বন্দরে কন্টেইনার জট কমবে। এতে বন্দরের বাইরের এলাকায়ও যানজট কমবে।

জানা যায়, অনেকটা ক্যাবল কারের মতো ঈগল ট্রেন অন্তত ৫০ ফুট ওপরে স্টিল স্ট্রাকচারের ট্র্যাকে কন্টেইনার স্থানান্তর করে থাকে। বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০ টিইইউএস কন্টেইনার মুভমেন্ট করা যায়। ঈগল রেলে ঘণ্টায় কমপক্ষে ৩০০ টিইইউএস কন্টেইনার মুভমেন্ট করা যাবে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এ বিষয়ে কাজ করছে চবক।

চবক সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলমের নেতৃত্বে বন্দরের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঈগল ট্রেন সম্পর্কে বাস্তব ধারণা নিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন এবং ঈগল রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারই ধারাবাহিকতায় চবক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই ট্রেন স্থাপনে ঈগল রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক সমঝোতায় উপনীত হয় এবং বাংলাদেশের জন্য একেবারে নতুন অথচ কার্যকর এই ট্রেন স্থাপনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।

আলী/সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!