চট্টগ্রাম থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসছেন যারা

আগামী ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নির্বাচিত হবে নতুন নেতৃত্ব। সভানেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপদে বহাল থাকলেও সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী সংসদেও ব্যাপক পরিবর্তনের গুঞ্জন রয়েছে। তবে সেই পরিবর্তনের হাওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের পরিবর্তনের তেমন সম্ভাবনা নেই।

বরং সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে কারো কারো পদোন্নতি হওয়ার পাশাপাশি নতুন করে চট্টগ্রাম থেকে অন্তত তিনজন যোগ হতে পারে কেন্দ্রীয় সংসদে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ঘনিষ্টসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মীরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। প্রচার সম্পাদক হিসেবে রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কোতোয়ালীর সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। উপ প্রচার সম্পাদক হিসেবে সাতকানিয়ার আমিনুল ইসলাম আমীন৷ উপ দপ্তর সম্পাদক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী লোহাগড়ার ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

সূত্রমতে, এবারের সম্মেলনে আবারও প্রেসিডিয়াম মেম্বার হিসেবে থাকছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসা ড. হাছান মাহমুদের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার গুঞ্জনও শুনা যাচ্ছে। তবে তা না হলে এবার তাকে প্রচার সম্পাদকের পদ থেকে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি দিতে পারেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা। হাছান মাহমুদের পদোন্নতি হলে তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে আসা উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনকে পদোন্নতি দিয়ে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক করা হতে পারে।

তবে বর্তমান দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ স্বপদে বহাল থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী লোহাগড়ার সন্তান ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপ দপ্তর সম্পাদক পদেই বহাল থাকবেন। অন্যদিকে ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব সামলে আসা মহিউদ্দীন চৌধুরীপুত্র শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলও স্বপদেই বহাল থাকছেন।

এবার চট্টগ্রাম থেকে নতুন করে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাতকনিয়ার মাইনুদ্দীন হাসান চৌধুরী। যদি কোনও কারণে তা সম্ভব না হয় তাহলে ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতাকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদে নতুন মুখ হিসেবে আসতে পারেন সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুুুুুজুর রহমান মিতা ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রুহেল। এছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটনও কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে পারেন।

প্রসঙ্গত, সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন ২০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ও দ্বিতীয় অধিবেশন ২১ ডিসেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যান্য সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান ও নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও এবার সেরকমভাবে সম্মেলন আয়োজন করছেনা আওয়ামী লীগ। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়েই এবারের সম্মেলনের পরিকল্পনা করেছে তাঁরা। এর বাইরে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!