চট্টগ্রাম কারাগার/ কোমরের পর এবার পায়ুপথে বের হল ৩৫০ ইয়াবা

পুলিশের তল্লাশিতে কোমর থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা জব্দের পর আদালতের মাধ্যমে তার ঠিকানা হয় চট্টগ্রাম কারাগারে। কিন্তু পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়া চতুর ইয়াবা কারবারি নূর মোহাম্মদের শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত কারাগারের ভেতর তল্লাশিতে পেট থেকেই বের করা হয় ৩৫০ পিস ইয়াবা। রোববার (১৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতিদের নাম লিপিবদ্ধ (ক্যাশটেবিলে) করার সময় এ বিষয়টি ধরা পড়ে।

এর আগে শনিবার নগরীর কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় একটি বাসে তল্লাশি করে সন্দেহভাজন ইয়াবা কারবারি হিসেবে নূর মোহাম্মদকে আটক করে পুলিশ। তাকে তল্লাশি করে কোমর থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার (১৫ জুন) সংশ্লিষ্ট আইনের মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী রাতে কারাগারের আমদানি সেলে থাকার পর সকালে জেলারের সামনে নতুন হাজতিদের ক্যাশ টেবিলে ডাকা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে নূর মোহাম্মদ স্বীকার করেন তার পেটে ইয়াবা রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে নূর মোহাম্মদ স্বীকার করেন তার পেটে ইয়াবা রয়েছে।

এ সময় একে একে ছবি তোলাসহ নাম নিবন্ধনের জন্য যখন হাজতিদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে, তখনই জিজ্ঞাসাবাদে নূর মোহাম্মদ স্বীকার করেন তার পেটে ইয়াবা রয়েছে। তখনই তাকে আলাদা কক্ষে নিয়ে মলত্যাগের মাধ্যমে পায়ুপথ দিয়ে ইয়াবাগুলো বের করা হয়। প্রতিটি ৫০ পিসের সাতটি প্যাকেটে মোট ৩৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

হাজতি নূর মোহাম্মদ কক্সবাজারের টেকনাফ থানার লেদাপাড়ার হাসু মিয়ার ছেলে। হাজতি নং ১২২৪১/১৯।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন বলেন, ‘কর্ণফুলী থানার মাদক মামলার হাজতি নুর মোহাম্মদকে আমদানি ওয়ার্ড থেকে সাধারণ ওয়ার্ড বরাদ্দের জন্য নিয়ম অনুযায়ী অন্য হাজতিদের সঙ্গে ক্যাশ টেবিলে হাজির করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই তিনি ইয়াবা মামলার আসামি হওয়ায় তাকে আলাদাভাবে বেশকিছু প্রশ্ন করা হয়। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন তার পেটে ইয়াবা রয়েছে। এরপর তাকে মলত্যাগের মাধ্যমে পেট থেকে সাতটি প্যাকেটে ৫০ পিস করে ৩৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এখন এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানা আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল বাসে তল্লাশি করে কোমর থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করার মামলায় তাকে আমরা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। এখন জেলের মধ্যে পেট থেকে আরো ৩৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় একই মামলায় নতুন করে সংযুক্ত করা হবে।’ তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পরও কেন তিনি পেটে ইয়াবা থাকার কথা স্বীকার করেননি—বিষয়টি বোধগম্য নয় বলেও মন্তব্য করেন ওসি আলমগীর।’

এফএম/এডি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!