পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনের নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ১২ জুন এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কাউন্সিলর একেএম জাফরুল ইসলামের মৃত্যুজনিত কারণে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৫ (ঙ) মোতাবেক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদটি ১২ জুন ২০১৯ হতে শূন্য ঘোষণা করা হলো।

এদিকে, ১২ জুন শূন্য ঘোষণাকৃত চসিকের ১৭ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর দাপ্তরিক পত্র দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. মুনির হোসাইন খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা আসলে তফশিল ঘোষণাসহ নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সিটি করপোরেশনের আইন অনুসারে শূন্য ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের মাধ্যমে কাউন্সিলর নির্বাচিত করার নিয়ম রয়েছে বলে জানান মুনির হোসাইন খান।

১৭ এপ্রিল বিকাল সাড়ে পাঁচটায় নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম জাফরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণাসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি দাপ্তরিক পত্র দিয়েছে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা।
প্রসঙ্গত, সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯-এর ১৬ ধারায় বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন পূর্বে মেয়র বা কোন কাউন্সিলরের পদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে তা পূরণ করতে হবে। উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি সিটি করপোরেশনের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য ওই পদে বহাল থাকবেন ।

এদিকে, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, চসিকের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ৪৯ হাজার ৮২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৭৪৮ জন এবং নারী ভোটার ২৬ হাজার ৭৭ জন।

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!