চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ কম

পরীক্ষা করাতে এগিয়ে আসার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করানোর হার কম— এমন অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজেই। ভিডিও লাইভে এসে চট্টগ্রাম অঞ্চলের লোকজনের প্রতি এই আবেদনও জানালেন তিনি— ‘আমি লক্ষ্য করেছি, লোকজনরা আসছে না এগিয়ে। যাদের পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন আছে, তারা যেন এগিয়ে আসেন পরীক্ষা করাতে অথবা যেন ফোন করেন।’

সোমবার (৩০ মার্চ) রাজধানীতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের একপর্যায়ে ভিডিও লাইভে সংযুক্ত হন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় কোভিড-১৯ পরীক্ষার জায়গা সম্প্রসারিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১১টি ল্যাবরেটরি বেশ কিছু কাজ করছে। আরও ১৭টি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে, যেন আরও পরীক্ষা হয়। তবে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার হার কম। পিপিই দিয়েছি, আরও পিপিই দেওয়ার ব্যবস্থা চলছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। যারা পিপিই ব্যবহার করছেন, যথাযথভাবে যেন ব্যবহার হয় এবং যেন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

সর্বশেষ গত সোমবার (৩০ মার্চ) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৬ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষা সম্পন্ন হয় । এর মধ্যে ৬ জন চট্টগ্রাম মহানগরের এবং অপরজন নোয়াখালীর বাসিন্দা। রোববারও ৬ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে ৪ জন চট্টগ্রাম মহানগর ও দুজন কক্সবাজারের বাসিন্দা।

এ নিয়ে সোমবার পর্যন্ত বিআইটিআইডির ল্যাবে ২৭ জনের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ২১টি ফলাফল ঘোষণা হয়েছে যাদের কারো মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিআইটিআইডি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!