চট্টগ্রামে ১১৭ প্রার্থীর ৯৬ জনেরই মান গেল, মার গেল ‘মানি’ও!

পাঁচ আসনে বিজয়ী প্রার্থী ছাড়া সবারই জামানত জব্দ

প্রতিবেদনটি রচনায় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বাঁশখালী প্রতিনিধি উজ্জ্বল বিশ্বাস, মিরসরাই প্রতিনিধি আজিজ আজহার ও ফটিকছড়ি প্রতিনিধি এসএম আক্কাছ


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ১২৪ প্রার্থীর মধ্যে ৯৬ জনই জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে, মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। একটি নির্বাচনী এলাকায় যত ভোট পড়ে তার শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশ কোনো প্রার্থী না পেলে প্রার্থিতার সঙ্গে জমা দেওয়া জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসেবে মাত্র ২৮ জন প্রার্থী ছাড়া অন্যদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই ২৮ জন প্রার্থী ভোটারদের মোট প্রাপ্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। ভোট গ্রহণের পর চূড়ান্ত ফলাফলের পরিসংখ্যানের দেখা গেছে এমন চিত্র।

কোথায় কতোজনের জামানত গেল

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে দুজন ছাড়া ৫ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে দুজন ছাড়া দুই ভাণ্ডারীসহ ৭ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে দুজন ছাড়া ৬ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে একজন ছাড়া ৬ প্রার্থী, চট্টগ্রাম -৫ (হাটহাজারী) আসনে দুজন ছাড়া ৬ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে একজন ছাড়া ৫ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে একজন ছাড়া ৫ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে সোলায়মান শেঠসহ ৮ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী) আসনে একজন ছাড়া ৬ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) আসনে দুজন ছাড়া ৮ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে দুজন ছাড়া ৫ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে দুজন ছাড়া ৭ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে একজন ছাড়া ৬ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে দুজন ছাড়া ৬ প্রার্থী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে দুজন ছাড়া ৫ প্রার্থী এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে তিনজন ছাড়া ৭ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

কিছুটা ব্যতিক্রম মোমবাতি প্রতীক

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে মোমবাতি প্রতীকে ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থীরা তুলনামূলক কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক ৯ হাজার ৩০১ ভোট পেয়েছেন চট্টগ্রাম -১ (মিরসরাই) আসনে প্রার্থী হওয়া মো. ইকবাল হাসান, চট্টগ্রাম -৫ (হাটহাজারী) আসনে সৈয়দ মুক্তার আহমেদ (৬ হাজার ৮৩১ ভোট), চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে এমএ মতিন (৮ হাজার ২৯৮ ভোট), চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে সেহাব উদ্দিন মাহমুদ আবদুস সামাদ (৫ হাজার ২৩১ ভোট) এবং চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে আবুল হোসেন (৫ হাজার ১৪১ ভোট)।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই)

দুজন ছাড়া ৫ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

চট্টগ্রাম-১ আসনে মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন ছাড়া বাকি ৫ জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এদের কেউ ৫০০ ভোটও পাননি।

১০৬টি ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে রুহেল পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট। এ আসনে মোট ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫২৩ ভোটারের ১ লাখ ৪৫ হাজার জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৮ হাজার ১৩৩ ভোট। কিন্তু বাকি প্রার্থীদের কেউ ৫০০ ভোটও পাননি। এরা হলেন— জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙ্গল) ৪০৮ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আব্দুল মান্নান (চেয়ার) ২০৫ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের মো. ইউসুফ (টেলিভিশন) ২০০ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মো. নুরুল করিম আবছার (একতারা) ১৯৯ ভোট ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (হাত পাঞ্জা) ৪৬ ভোট। ফলে রুহেল ও নোমান ছাড়া অন্যদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি)

দুই ভাণ্ডারীসহ ৭ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

ফটিকছড়ি আসনে আওয়ামী লীগের খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (নৌকা) ১ লাখ ১ হাজার ৭৮ ভোট ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব (তরমুজ) পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৮৪ ভোট। এছাড়া বাকি ৭ জনেরই জামানত বাতিল হয়েছে।

এ আসনে মোট ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ ভোটারের ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এখানে ন্যূনতম প্রয়োজন ছিল ১৮ হাজার ৬৮৪ ভোট। কিন্তু ইসলামিক ফ্রন্টের মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম (চেয়ার) ৫২৬ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের মো. হামিদ উল্লাহ (মোমবাতি) ১ হাজার ৩৮ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. শফিউল আজম চৌধুরী (লাঙ্গল) ২৫১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান (ঈগল) ২ হাজার ২৬১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন চৌধুরী (ফুলকপি) ৩১১ ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (ফুলের মালা) ২৩১ ভোট পান।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ)

দুজন ছাড়া ৬ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

সন্দ্বীপে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মাহফুজুর রহমান মিতা (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী (ঈগল) ছাড়া বাকি ৬ জনেরই জামানত বাতিল হয়েছে। নৌকার মিতা ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট এবং জামাল উদ্দিন পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭০ ভোট।

এ আসনে মোট ২ লাখ ৪১ হাজার ৯১৪ ভোটারের ৮৭ হাজার ৫৯১ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ হাজার ৯৪৯ ভোট। এই আসনে জাতীয় পার্টির এমএ ছালাম (লাঙ্গল) ১৩৫ ভোট, জাসদের নুরুল আকতার (মশাল) ৫৬৬ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ উল্লাহ খান (মোমবাতি) ২২২ ভোট, সুপ্রিম পার্টির মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার (একতারা) ৭০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোকতার আজাদ খান (আম) ১৫০ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্টের আবদুর রহিম (চেয়ার) ১১৭ ভোট পান।

চট্টগ্রাম -৪ (সীতাকুণ্ড)

একজন ছাড়া ৬ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

সীতাকুণ্ড আসনে আওয়ামী লীগের এসএম আল মামুন (নৌকা) ছাড়া বাকি ৬ জনেরই জামানত বাতিল হয়েছে। মামুন পেয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট।

এ আসনে মোট ৪ লাখ ২৭ হাজার ১৭২ ভোটারের ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৪৮ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ হাজার ৮৬৯ ভোট। কিন্তু এই আসনে তৃণমূল বিএনপির মো. খোকন চৌধুরী (সোনালী আঁশ) ৬৭১ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) আকতার হোসেন (টেলিভিশন) ২৩৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমরনি (ঈগল) সাড়ে ৪ হাজার ভোট, জাতীয় পার্টির মো. দিদারুল কবির (লাঙ্গল) ৪ হাজার ৮৮০ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. মোজাম্মেল হোসেন (চেয়ার) ১ হাজার ৭২৩ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের শহীদুল ইসলাম চৌধুরী (ডাব) ৩৪৫ ভোট পান।

চট্টগ্রাম -৫ (হাটহাজারী)

দুজন ছাড়া ৬ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

হাটহাজারীতে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী (কেটলি) ছাড়া বাকি ৬ জনেরই জামানত বাতিল হয়েছে। আনিসুল ইসলাম ও শাহজাহান যথাক্রমে ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট এবং ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট।

এ আসনে মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭১৩ ভোটারের ৯৮ হাজার ১০৭ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। সেই হিসেবে ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ২৬৪ ভোট। কিন্তু এই আসনে বিএনএফের আবু মোহাম্মদ সামশুদ্দিন (টেলিভিশন) ৬৫ ভোট, সুপ্রিম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী (একতারা) ৮৭২ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ হাফেজ আহমদ (চেয়ার) ৬৯১ ভোট, তৃণমূল বিএনপির মো. নাজিম উদ্দিন (সোনালী আঁশ) ১ হাজার ৪০১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম (ঈগল) ৪৮০ ভোট ও ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মুক্তার আহমেদ (মোমবাতি) ৬ হাজার ৮৩১ ভোট পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান)

একজন ছাড়া ৫ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

রাউজানে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (নৌকা) ছাড়া বাকি ৫ জনেরই জামানত বাতিল হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট।

এ আসনে মোট ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯২০ ভোটারের ২ লাখ ৩২ হাজার ১০৮ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ হাজার ১৪ ভোট। কিন্তু অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মো. সফিকুল আলম চৌধুরী (লাঙ্গল) ২ হাজার ৬৫৪ ভোট, তৃণমূল বিএনপির মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী (সোনালী আঁশ) ১ হাজার ১৪৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম (ট্রাক) ৩ হাজার ১৫৯ ভোট ও ইসলামিক ফ্রন্টের স ম জাফর উল্লাহ (চেয়ার) প্রতীকে ১ হাজার ৯৩৭ ভোট পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া)

একজন ছাড়া ৫ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

চট্টগ্রাম-৭ আসনে তথ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ ছাড়া চট্টগ্রাম-৭ আসনের অন্য ৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার ব্যালটে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬টি।

এ আসনে মোট ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১ ভোটারের মধ্যে ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮০ জন নির্বাচনে ভোট দেন। এর ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭ হাজার ১৭৩ ভোট। কিন্তু ইসলামিক ফ্রন্টের আহমেদ রেজা (চেয়ার) ১ হাজার ৩৯০ ভোট, তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম (সোনালী আঁশ) ১ হাজার ৩৩১ ভোট, জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা (লাঙ্গল) ২ হাজার ৩০৮ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইকবাল হাসান (মোমবাতি) ৯ হাজার ৩০১ ভোট ও সুপ্রিম পার্টির মো. মোরশেদ আলম (একতারা) মাত্র ১ হাজার ১৩০ ভোট পেয়েছেন। ফলে তাদের সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও)

সোলায়মান শেঠসহ ৮ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

চট্টগ্রাম-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম (কেটলি) এবং সাবেক কাউন্সিলর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী (ফুলকপি) ছাড়া অপর ৮ প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়েছে। আবদুচ ছালামের কেটলি প্রতীকে ৭৪ হাজার ২৬৬ ভোট এবং বিজয় কুমারের ফুলকপিতে পড়েছে ৪১ হাজার ৫০০ ভোট। এ আসনে মোট ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪০ ভোটারের ৬৯ হাজার ১৯৩ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৮ হাজার ৬৫০ ভোট। অথচ এমনকি আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েও জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৬৬৪ ভোট। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)-এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন) পেয়েছেন মোটে ৮১ ভোট।

সোলায়মান আলম শেঠ ও আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও এই আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন— কল্যাণ পার্টির মো. ইলিয়াছ (হাতঘড়ি) ৬৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহিবুর রহমান বুলবুল (ডাব) ২৪ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের আবদুল নবী (মোমবাতি) ৪ হাজার ২১০ ভোট, এনপিপির মো. কামাল পাশা (আম) ৫১ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সন্তোষ শর্মা (সোনালী আঁশ) ১২২ ভোট এবং ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন (চেয়ার প্রতীক) ৭৪৭ ভোট।

চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী)

একজন ছাড়া ৬ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ছাড়া বাকি ৬ জনেরই জামানত বাতিল হয়েছে। এ আসনে মোট ৪ লাখ ৯ হাজার ৫৭৬ ভোটারের ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৪ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ হাজার ৬০৯ ভোট। তবে অন্য প্রার্থীদের কেউ ২ হাজার ভোটও পাননি।

অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামিক ফ্রন্টের ওয়াহেদ মুরাদ চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯১৪ ভোট, ন্যাপের মিটল দাশগুপ্ত কুঁড়েঘর প্রতীকে পেয়েছেন ৯২৮ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৫৩২ ভোট, কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ নূরুল হোসাইন হাতঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩৭ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সুজিত সরকার সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭২ ভোট, জাতীয় পার্টির সানজিদ রশিদ চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী এদের সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং)

দুজন ছাড়া ৮ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলম (ফুলকপি) ছাড়া বাকি ৮ প্রার্থীরই জামানত বাতিল হয়েছে। এ আসনে মোট ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮০৩ ভোটারের ১ লাখ ৫ হাজার ১৩৪ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩ হাজার ১৪২ ভোট। তবে অন্য প্রার্থীদের কেউ আড়াই হাজার ভোটও পাননি।

অন্য প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপির ফেরদাউস বশির সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪৭ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের আলমগীর হোসেন বঈদী মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ২০৮ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্টের আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬৫ ভোট, সুপ্রিম পার্টির মিজানুর রহমান একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২৩ ভোট, জাসদের মো. আনিসুর রহমান মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান গণি ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৫ ভোট। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী এদের সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা)

দুজন ছাড়া ৫ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

চট্টগ্রাম-১১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এমএ লতিফ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন (কেটলি) ছাড়া বাকি ৫ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ আসনে মোট ৫ লাখ ১ হাজার ৮৫২ ভোটারের ১ লাখ ২ হাজার ৬২৯ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৮২৯ ভোট। তবে অন্য প্রার্থীদের কেউ আড়াই হাজার ভোটও পাননি।

অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামিক ফ্রন্টের আবুল বাসার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৫১ ভোট, সুপ্রিম পার্টির মো. মহিউদ্দিন একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৩০০ ভোট, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ১৬০ ভোট, এনপিপির নারায়ণ রক্ষিত আম প্রতীকে পেয়েছেন ৭৬ ভোট এবং গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক উদীয়মান সূর্য প্রতীকে পেয়েছেন ১৪৫ ভোট। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী তাদের সকলেই জামানত হারিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া)

দুজন ছাড়া ৭ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

চট্টগ্রাম-১২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী (ঈগল) ছাড়া বাকি ৭ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ আসনে মোট ৩ লাখ ২৯ হাজার ৪২৮ ভোটারের ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮৮ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ হাজার ৯৯ ভোট। তবে কোনো প্রার্থীই এর কাছাকাছিও যেতে পারেননি।

অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ২৯৮, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএমের এম এয়াকুব আলী নোঙর প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪৬ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬৫ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ছৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জেহাদী ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ১৩৩ ভোট, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা সরকার লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপির রাজীব চৌধুরী সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ১১৩ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া পেয়েছেন ৭৪ ভোট। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী তারা জামানত হারালেন।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী)

একজন ছাড়া ৬ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ছাড়া বাকি ৬ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ আসনে মোট ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৪ ভোটারের ২ লাখ ৩ হাজার ৯২১ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৫ হাজার ৪৯০ ভোট। তবে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে একজন মাত্র ৫ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন।

এই আসনে জাতীয় পার্টির আবদুর রব চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে ৩ হাজার ৩০৬ ভোট, তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহম্মদ চৌধুরী সোনালী আঁশ প্রতীকে ৮৩৭ ভোট, সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ আরিফ মঈন উদ্দিন একতারা প্রতীকে ৬১৩ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক বটগাছ প্রতীকে ৬১৫ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. আবুল হোসেন মোমবাতি প্রতীকে ৫ হাজার ১৪১ ভোট এবং ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ হামেদ হোসাইন চেয়ার প্রতীকে ১ হাজার ৬৬৮ ভোট পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী জামানত হারালেন তারা।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ)

দুজন ছাড়া ৬ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী (ট্রাক) ছাড়া বাকি ৬ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ আসনে মোট ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯৩ ভোটারের ১ লাখ ১৭ হাজার ২৭০ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪ হাজার ৬৫৯ ভোট। তবে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে একজন মাত্র ৫ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন।

এই আসনে জাতীয় পার্টির আবু জাফর মো. ওয়ালিউল্লাহ লাঙ্গল প্রতীকে ১৬২ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মাহমুদ আবদুস সামাদ মোমবাতি প্রতীকে ৫ হাজার ২৩১ ভোট, বিএনএফের গোলাম ইসহাক খান টেলিভিশন প্রতীকে ৬১৩ ভোট, সুপ্রিম পার্টির মো. আইয়ুব একতারা প্রতীকে ১৯৬ ভোট, তরীকত ফেডারেশনের মো. আলী ফারুকী ফুলের মালা প্রতীকে ৯৪ ভোট ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল হোসাইন চেয়ার প্রতীকে ১২১ ভোট পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া)

দুজন ছাড়া ৫ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব (ঈগল) ছাড়া বাকি ৫ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ আসনে মোট ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪১১ ভোটারের ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৬৩ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ হাজার ১৭১ ভোট। তবে অন্য কোনো প্রার্থী ৪০০ ভোটও পাননি।

এই আসনে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ছালেম লাঙ্গল প্রতীকে ৩৮০ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের মো. আলী হোসাইন মোমবাতি প্রতীকে ৩৬২ ভোট, কল্যাণ পার্টির সোলায়মান কাশেমী হাতঘড়ি প্রতীকে ১৫০ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. হারুন মিনার প্রতীকে ২৯৪ ভোট ও মুক্তিজোটের জসিম উদ্দিন ছড়ি প্রতীকে ৮৬ ভোট পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী তারা জামানত হারালেন।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)

তিনজন ছাড়া ৭ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত

চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান (ঈগল) এবং আবদুল্লাহ কবির লিটন (ট্রাক) ছাড়া বাকি ৭ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ আসনে মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৫ ভোটারের ১ লাখ ২৯ হাজার ২২৩ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ১২ শতাংশ অর্থাৎ ৮ ভাগের এক ভাগ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ হাজার ১৫৩ ভোট। তবে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে একজন মাত্র ১ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন।

এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান (বেঞ্চ প্রতীক) ২৯৩ ভোট, কংগ্রেস পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুর করিম শরীফি (ডাব) ৮৪ ভোট, ন্যাপের আশীষ কুমার শীল (কুঁড়েঘর) ৩১১ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহিউল আলম চৌধুরী (মোমবাতি) ১ হাজার ১২৫ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোটের শফকত হোসেন চাটগামী (মিনার) ১১৪ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল মালেক আশরাফী (চেয়ার) ৫০৩ ভোট, এনপিপির মামুন আবছার চৌধুরী (আম) ১০৬ ভোট পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী এদের সকলেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

ডিজে/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!