চট্টগ্রামে ‘হামুন’ মোকাবেলায় ২৯০ মেডিকেল টিম, বন্দরে ব্যাপক প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় হামুনের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৯০টি মেডিকেল টিমের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০০টি, উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যায়ে ৭৫টি, জেনারেল হাসপাতালে ৫টি, আরবান ডিসপেনসারিতে ৯টি ও স্কুল হেলথ ক্লিনিকের একটি টিম রয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমাদের কন্ট্রোল রুম চালু রয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রাখা হচ্ছে। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে মানুষজনকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় হামুনের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেটি থেকে বড় জাহাজ বহির্নোঙরে এবং লাইটার জাহাজ পাঠানো হচ্ছে কর্ণফুলী নদীর উপরিভাগ শাহ আমানত সেতু এলাকায়। এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব নিয়মে এলার্ট-৩ জারি করেছে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এ অবস্থায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। নগরের আকবরশাহ এলাকার বিজয় নগর ও ঝিল ১, ২, ৩, বেলতলীঘোনা, টাংকির পাহাড়, মতিঝর্ণা, ষোলশহর ও পোড়াকলোনীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ১০০ পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়।

কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার( ভূমি) উমর ফারুক বলেন, সকাল থেকেই চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ৬ জন সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মানুষের জানমাল রক্ষায় কাজ করছে। মাইকিং থেকে শুরু করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দিচ্ছেন।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পাহাড়ে যেন মানুষের আর প্রাণ না দিতে হয় সেজন্য কাজ করছি। মাইকিং থেকে শুরু করে সবাইকে সচেতন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে। আজকেও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো থেকে ১০০ পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য শুকনো থেকে শুরু করে প্রতিবেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি। চট্টগ্রামের সব পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত পরিবারকে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!