চট্টগ্রামে সিন্ডিকেটের কবলে ডিম, লাগামহীন বাজারে বাড়ল দাম

প্রতিটি হাঁসের ডিম ২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির ১৫ টাকা

অতিবৃষ্টি ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে বন্যার অযুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। ছোট আকারের ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। আর একটু বড় আকারের গুলো বিক্রি হচ্ছে ডজন ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়। এছাড়া প্রতিপিস হিসেবে হাঁসের ডিম ২০ টাকা, দেশি মুরগি ১৭-১৮ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

সরেজমিন বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুরগির ডিমের পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে শতপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এক হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা হালি, ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। সোনালি মুরগির ডিম এক হালি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা। ১০০ পিস দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়।

এক সপ্তাহ আগেও ব্রয়লার মুরগির ডিম ১৫০ টাকায় ডজন বিক্রি হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকায়।

ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের কাছে বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

রিয়াজুদ্দিন বাজারের মাসুদ নামের এক আড়তদার বলেন, ‘সব ধরনের জিনিসপত্রে দাম বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদাও বেড়েছে। এই সুযোগে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদেরও বাড়তি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে।’

আলাউদ্দিন নামের এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ‘বর্তমানে ডিমের কোনো সংকট নেই। তারপরও কেন দাম বাড়ছে তা বলতে পারছি না। বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে হয়তো পাইকারিরা দাম বাড়িয়েছে। আমি খুচরা দোকানদার যে দামে আনি সেই অনুযায়ীই বিক্রি করতে হচ্ছে। এখন ডিম থেকে লাভের আশা করা ছেড়ে দিয়েছি। শুধু কাস্টমার ধরে রাখার জন্য কেনা দামে ডিম বিক্রি করছি। তা নাহলে দোকানে ডিম রাখা বন্ধ করে দিতাম। ডিম বিক্রি করে আমাদের মত খুচরা ব্যবসায়ীদের লাভের পরিমাণ খুবই সীমিত।’

এর মধ্যে কথা হয় বাজার করতে আসা স্কুলের শিক্ষক আলমগীর কবির খোকনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের এই ঊর্ধ্বমুখি বাজারে পরিবার নিয়ে টিকে থাকা দায়। মাছ-মাংস খাওয়া তো আমরা ভুলে যেতে বসেছি। তাও বাচ্চাদের শরীরের পুষ্টি যোগানোর জন্য ডিমটা কেনা হতো। নাহলে এটাও খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলাম। কিন্তু এই ডিমের দামও ডজনপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে গেছে। এক ডজন ডিম কিনতে এসেছিলাম কিন্তু সেই ১৪০ টাকায় ১০টা ডিম কিনেছি। আমরা আর কি খাব? সব কিছুর দাম বাড়তি।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!