চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২

চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ৭ জনসহ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বড় রামদা, পাঁচটি কিরিচ ও তিনটি ধামা উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে নুরুর আস্তানায় ব্লকরেইড অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন ভোর পাঁচটা থেকে দুই ঘন্টা ধরে আকবরশাহর নাছিয়া ঘোনার ১ নম্বর ঝিল এলাকায় চলা এই অভিযানে অংশ নেয় শতাধিক পুলিশ সদস্য। আকবর শাহ থানা পুলিশের বাইরেও সিএমপির রিজার্ভ ফোর্সের পুলিশও অংশ নেয় এই অভিযানে। অভিযানে পুলিশকে সহযোগীতা করে স্থানীয়রাও।

তবে এত আয়োজন করেও অধরা থেকে গেছে অভিযানের মূল টার্গেট নুরু। পুলিশ বলছে তাকে গ্রেপ্তারে অব্যহত থাকবে তাদের অভিযান।

এর আগে গত শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আকবরশাহ থানার ১ নম্বর ঝিল এলাকায় সন্ত্রাসী নুরুকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সন্ত্রাসীদের অতর্কিত আক্রমণে সেখান থেকে ফিরে আসেন পুলিশ সদস্যরা। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনাও ঘটে বলে খবর পাওয়া যায়।

সেই ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় আবারও ১ নম্বর ঝিলে অভিযান চালিয়ে যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন বিউটি আক্তার (২৭), মো. মোশারফ হোসেন (২২), মো. পারভেজ (২৮), মো. ওমর আলী (৩০), মো. জুয়েল রানা (১৯), মো. রাসেল (২৮), মো. বাবুল (২৮), আতাউল্লাহ (২৬), মো. সাঈদ (২০), মো. হৃদয় হোসেন (১৯), মো. ইব্রাহীম খলিল (৩০) ও অহিদুল ইসলাম বাদশা (১৯)।

এর মধ্যে মো. ওমর আলী (৩০), মো. জুয়েল রানা (১৯), মো. রাসেল (২৮), মো. বাবুল (২৮), আতাউল্লাহ (২৬),মো. হৃদয় হোসেন (১৯) ও অহিদুল ইসলাম বাদশা (১৯) গত ২৬ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার এজহারভুক্ত আসামি বলে থানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আলোচনায় আসা নুরুকে স্থানীয় রাজনীতিতে কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের আশীর্বাদপুষ্ট বলা হলেও তা অস্বীকার করে জসিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ঝিল এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে আমি ছাড়া এখানে কেউ কথা বলেনি। এখানে মাদক নির্মূলে আমি নিজেই ব্যক্তিগতভাবে সক্রিয় আছি অনেকদিন ধরে। প্রশাসনকেও সব সময় সব রকমের সাহযোগিতা করেছি, এখনো করছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে একটা মহল আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে মেতেছে। এসব অভিযোগ সত্য নয়।’

এই অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জনই নুরুর সহযোগী বলে জানিয়েছেন আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক মামলা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসী নূরুর বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।

এআরটি/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!