কারখানায় মেশিনের শব্দ আর সুঁই-সুতার ফোড়ে বাঁধা যাদের জীবন, তাদের আজ কোনো কাজ নেই। সময়টা যেন বাঁধভাঙা আনন্দের। এ যেন মালিক-শ্রমিকের অন্যরকম এক মিলনমেলা। দেশাত্মবোধক গানের তালে তাদের হাতে উড়ছে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা। পোশাক শ্রমিকদের হাতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্রের প্ল্যাকার্ড।
৭ জানুয়ারি শ্রমিক ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করেন চট্টগ্রামের ফারমিন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. এমরান।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হলে দিনভর বার্ষিক বনভোজন ও বর্ষবরণ উৎসব নামের এই আয়োজনে ফারমিন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রায় ৩ হাজার পোশাক শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন। নাচ, গান, র্যাফেল ড্র, পুরস্কার বিতরণ, খাবারের আয়োজনসহ কোন কিছুরই কমতি ছিল না সেখানে। তবে সবকিছুর মাঝেই ছিল ব্যতিক্রমধর্মী নৌকার প্রচারণা আর ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করা।
পোশাকশ্রমিকরা বলছেন, ফারমিন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী ও এমডি মো: এমরান প্রতিটি শ্রমিককে পরিবারের সদস্য হিসেবে মূল্যায়ন করেন। সবসময় তাদের কাছে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন। দেশের উন্নয়নে কিভাবে নিজেদের গর্বিত অংশীদার করা যায় সেই শিক্ষা প্রতিটি শ্রমিকের অন্তরে গেঁথে দিয়েছেন তারা।
পোশাক শ্রমিকদের দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ সৃষ্টি ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এমন ভিন্নধর্মী আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান ফারমিন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী। শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নৌকা জিতলেই দেশে পোশাক শিল্প বাঁচবে, চট্রগ্রামের উন্নয়নের ভার নিজ হাতে তুলে নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক মেগা প্রকল্পে বদলে গেছে চট্টগ্রাম। দেশের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন।
ফারমিন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মো. এমরান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা না হলে দেশে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি থাকবে না। এ দেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। তাই ৭ জানুয়ারি ভোটের জোয়ারের মাধ্যমে পরাজিত শক্তির বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে।