চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর ৯৫তম পবিত্র খোশরোজ শরীফ উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে আশেকানে হক ভাণ্ডারী শোকর-এ মওলা মঞ্জিলের এ উপলক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রামের মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশে নির্দেশনা সৈয়দ শফিউল আজিম সুমনের সভাপতিত্বে ও এসএম নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফের সঞ্চালনায় আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সিনিয়র সদস্য মুহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ রাস-আল-খাইমা শাখার উপদেষ্টা মুহাম্মদ ওমর ফারুক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মাতৃভূমি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ আহসান ইকবাল মঞ্জু।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক পঞ্চানন দাশগুপ্ত।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রিত শিক্ষকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, মানবজাতিকে আল্লাহ দুটি আমানত দান করেছেন। একটি আল্লাহর একত্বের পরিচয় ‘তৌহিদ’, আরেকটা ‘মারেফাত’। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে খোদার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করাই মারেফাত। ওলীর জিকির করা মানে আল্লাহ ও রাসূলের জিকির করা। এটাই ‘ওহাদতুল অজুদ’ সুফিবাদের মূল বিষয়।
এছাড়া খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, মিলাদ ও জিকিরে সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩১ জন চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলব্যাগ ও এক শিক্ষাবর্ষের শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়।