চট্টগ্রামের জেনারেল পোস্ট অফিসে (জিপিও) বিভিন্ন গ্রাহকের নামে ভুয়া সঞ্চয় হিসাব খুলে জমা দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের মামলায় তিন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সরকারি খাত থেকে ২৯ কোটি ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩০০ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে তারা।
সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন চাইলে নামাঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জেবুন্নিসা।
আসামিরা হলেন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার বিরাহিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে ও চট্টগ্রাম জিপিও মেইল শাখার পোস্টাল অপারেটর মো. জয়নাল আবেদীন (৫৩), নগরীর কোতোয়ালী থানার চন্দনপুরা ৯৩/১ ভুঁইয়া গলির মৃত মনির আহম্মদের ছেলে ও জিপিও জিইপি/ইএমএস দিবা শাখার পোস্টাল অপারেটর মো. কবির আহমেদ (৪৫) এবং লক্ষ্মীপুর রায়পুর থানার কেরোয়া গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে ও জিপিওর সঞ্চয় সাধারণ শাখার কাউন্টার-১ এর পোস্টাল অপারেটর মো. হাসান (৪৭)।
এর আগে, ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর চট্টগ্রামের জিপিও থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি নামে ভুয়া সঞ্চয় হিসাব খুলে জমা দেখিয়ে সরকারি খাত থেকে ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দু’জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, সহকারী পোস্ট মাস্টার নুর মোহাম্মদ (৪৫) ও জিপিওর পোস্টাল অপারেটর সরওয়ার আলম খান (৫২)। বর্তমানে দু’জনই জামিনে রয়েছেন।
আগের মামলার এজহারভুক্ত এক ও দুই নম্বর আসামি বর্তমানে জামিনে আছেন। নতুন করে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিরা মোট ২৯ কোটি ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩০০ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাজীয় সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ‘জিপিওর অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় তদন্তে নতুন করে তিনজনের নাম উঠে এসেছে। এ তিনজন আজ দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে জামিন নামাঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারের পাঠানোর আদেশ দেন।’
এমএ/ডিজে