চট্টগ্রামের সাবেক এমপি প্রফেসর মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সাবেক সংসদ সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর)।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট, শিক্ষক, চিত্রশিল্পী, নারী উদ্যোক্তা, রাজনীতিবিদসহ বহুগুণের অধিকারী (ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার) এর সংরক্ষিত আসনের এমপি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর মাসুদা।
তিনি একমাত্র নারী ব্যবসায়ী নেত্রী, যিনি সর্বোচ্চ ভোটে এফবিসিসিআই পরিচালক নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ভোটে একাধারে ৩ বার সিনেট সদস্য, ৩ বার সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হন। তিনি সার্ক চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইউনেস্কো ক্লাব অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, ও আইসি টাস্কফোর্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধি, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রেসিডিয়াম সদস্য, এসএমই ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি, একাধিকবার এফবিসিসিআই; বিজিএমইএ এবং বারভিডার নির্বাচন কমিশনার, বিসিক এবং ইপিবি’র পরিচালক, নাসিবের সহ-সভাপতি ছিলেন।

এছাড়া ড. মাসুদা বাংলা ক্রাফ্ট এর সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট লিডার, আন্তর্জাতিক এশিয়ান আর্ট বিএনএলের সমন্বয়কারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টুরিস্ট সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা ও মডারেটর,পরিকল্পনা কমিশন ও মাইডাসের কনসালট্যান্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাবের উপদেষ্টা, খণ্ডকালীন প্রফেসর বুয়েট, চারুকলা অনুষদ এবং পিপলস্ ইউনিভার্সিটির ডিন পদে দায়িত্ব পালন করেন। অর্জন করেন ৭৬ টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ১৯৮৬ সালে ফিলিপাইনস থেকে ১৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির কারণে সে দেশের সর্বোচ্চ পদকেও ভূষিত হন।

তিনি সমাজবিজ্ঞান, নারী উদ্যোক্তা, রাজনীতি, চিত্র কলার ওপরে লিখেছেন ৭৪টি বই।

তাঁর পিতা মরহুম আবুল মনসুর পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যবসায়ী, মাতা মৌসুফা মনসুর বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা সংস্থার সভানেত্রী ও চট্টগ্রাম বাওয়া স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। নানা খাঁন বাহাদুর আবুল মজিদ জিয়াউস সামস্ ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান পার্লামেন্টের শিক্ষামন্ত্রী। দাদা খাঁন বাহাদুর টি আহম্মেদ উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম ডিপিআই ও ঢাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধী দলের নেতা একেএম ফজলুল কবির চৌধুরী’র জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ তিনি। তাঁর স্বামী ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট এবিএম ফজলে রশীদ চৌধুরী। তিনি পুত্র ব্যারিস্টার সানজীদ রশীদ চৌধুরী এবং কন্যা সানজানার জননী। রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী তাঁর দেবর।

দেশে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি, শিক্ষা’র প্রসার, সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর কে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, চট্টগ্রামের মুসলিম ইনস্টিটিউট এর পুনঃ নির্মাণে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বিএফএ ছাত্রী থাকাকালীন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে তিনি সরাসরি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

২০২১ সালের এইদিনে, ঢাকার বারডেম হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমার আত্মার মাগফিরাতের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, হাটহাজারী ও কক্সবাজারের বাসভবনে এবং রাউজানের পারিবারিক কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে পবিত্র খতমে কুরআন ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!