চট্টগ্রামের সাদিয়ার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়, জবাব চাইলেন হাইকোর্ট
গত এক বছরে অবহেলায় কতগুলো মৃত্যু, দিতে হবে জবাব
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার (১৯) মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গত এক বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সাদিয়ার মতো কতগুলো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়েও প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে দুই মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালত রুলে বলা হয়েছে, উন্নয়নমূলক কাজ চলার সময় ফুটপাত ও রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সামগ্রিক অবহেলা কেন সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না, তার জবাব দিতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের আইনি নোটিস পাঠানোর পর কোনো পদক্ষেপ না দেখে হাই কোর্ট রিট আবেদনটি করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও সিসিবি ফাউন্ডেশন। এরপর রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রোববার (৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের এই আদেশ এলো।
নালায় পড়ে চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার (১৯) মৃত্যুর এক মাস আগে ২৫ আগস্ট বন্দরনগরীর মুরাদপুর মোড়ে চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ হন ৫৫ বছর বয়সী সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। শেষ পর্যন্ত তার আর খোঁজ মেলেনি।
এই দুই মৃত্যুর ঘটনাতেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় সেরে আসছিল। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের এক তদন্ত কমিটি কমিটি গত ১ নভেম্বর যে প্রতিবেদন জমা দেয়, তাতে ওই প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষ হিসেবে সিডিএ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে দায়ী করা হয়।
সিপি