চট্টগ্রাম থেকে কৌশলে তাঁতি সমিতির সুতা নিয়ে যাচ্ছিল নারায়ণগঞ্জের কোম্পানি

নিজস্ব কারখানায় ব্যবহার করার নিয়ম ভঙ্গ করে নিলামে পাওয়া সুতা বিক্রির অভিযোগে চালান জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। তাঁতি সমিতির নামে বরাদ্দ এই সুতা চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে যাচ্ছিল নারায়ণগঞ্জভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘আদিয়া ট্রেডিং’।

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সুতাগুলো জব্দ করা হয়।

সরকারঘোষিত তাঁত সুবিধা নিয়ে সুতা সংগ্রহের ক্ষেত্রে একটি দুষ্টচক্র তাঁতিদের নামে বরাদ্দকৃত সুতা নিজস্ব গোডাউনে নিয়ে বাণিজ্যিক কাজে বিক্রি করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৭ হাজার ৪০০ কেজি সুতাসহ একটি ট্রাক জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

কাস্টমস সুত্র জানায়, সুতার নিলামের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড নির্ধারিত সমিতির সদস্যরা সুতার নিলামের অংশ নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিলাম নং ওবিপিসি নং ২/৭২৫/১৮, পণ্যের বিবরণ: নাইলন সুতা (৩৬২ প্যাকেজ), ওজন: ৭৪০০ কেজি লটের দরপত্রদাতা (ডাককারী বা বিডার) মো. আশরাফ আলী তাঁতী সমিতির দুজন ব্যক্তির নামে বিশেষ সুবিধার আওতায় সুতা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের নিজস্ব গোডাউনে নিয়ে যাচ্ছিল।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ট্রাকসহ সুতাগুলো জব্দ করা হয়। একই সাথে কাভার্ডভ্যানটি (নং ট-১১-৮১৫২) আটক করা হয়। সুতার ওই চালান নারায়গঞ্জের কুমুদিনী-৩৮ গোডাউনের ইনচার্জ মোহাম্মদ সোলাইমান ‘রিসিভ’ করার কথা ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের কুমুদিনী-৩৮ গোডাউনের ইনচার্জ মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘আমি আদিয়া ট্রেডিং নামের একটি সুতার কোম্পানির গোডাউন ইনচার্জ। আমরা চট্টগ্রাম থেকে কিছু সুতা কিনেছি। সেসব আমার বুঝে নেওয়ার কথা ছিল। এর বাইরে কিছুই আমি বলতে পারবো না।’

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আলী রেজা হায়দার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সুতার নিলামের ক্ষেত্রে তাঁত বোর্ডের নির্ধারিত সদস্যরাই নিলামে অংশ নিতে পারে। এটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতৃক স্বীকৃত এক পন্থা। তাঁত শিল্পের সদস্যরাই এ সুতা নেওয়ার জন্য বরাদ্দ পেয়ে থাকে। তবে এ বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রাপ্ত সুতা নিজেদের কারখানায় ব্যবহার করার জন্য। যা বাইরে বিক্রি করতে পারবে না। বাইরে বিক্রির বিষয়টি প্রমাণ পেলে তাদের বরাদ্দ বাতিল বা শাস্তির বিধান রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ট্রাকসহ সুতাগুলো জব্দ করেছি। তবে আরও যাচাই বাছাই করবো। যদি তারা বাইরে বিক্রি না করে তাদের কারখানায় নিচ্ছে সেটি প্রমাণ করতে পারে তাহলে ছাড় দেব।’

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!