ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’ আঘাত কোথায় করবে জানা যাবে ২০ মে

সম্ভাব্য তালিকায় বাংলাদেশ ও ভারত

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কারণ এটি আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

এ মুহুর্তে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ২০ মে বোঝা যাবে এটি কোথায় আঘাত করতে পারে। সে সময় বোঝা যাবে এর শক্তির মাত্রাও।

ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘আমপান’। এ নামটি দেয় থাইল্যান্ড।

নিম্নচাপটি আগামী সপ্তাহেই ভারত ও বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে উত্তর ভারত মহাসাগরে এটি হবে চলতি বছরের প্রথম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।

শনিবার (১৬ মে) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি কিছু পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।

২০১৯ সালের ঘূর্ণিঝড়ের তালিকায় শেষ নাম ছিল ‘আমপান’। নর্দান ইন্ডিয়ান ওশেন সাইক্লোনের নামগুলো বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডসহ মোট ৮টি দেশ পর্যায়ক্রমে নামগুলো রাখা হয়।

মুআ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!