গোণায় আসে না যা, সেই ‘করোনা উপসর্গে’ চট্টগ্রামেই শুধু ১০৪ জনের মৃত্যু

দেশে এ পর্যন্ত ‘উপসর্গের’ মৃত্যু ২ হাজার ৯৩৯ জনের

সরকারি খাতাপত্রে ‘করোনায় মৃত’ হিসেবে এদের নাম আসে না। সেই সংখ্যা সরকারি খাতায় গোণাও হয় না। গণমাধ্যমেও এদের নাম সরাসরি ‘করোনায় মৃত’ নয়, আসে ‘করোনা উপসর্গে মৃত’ হিসেবে।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ২৫টি গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণ করে দেশের একটি গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ২৩ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত সর্বশেষ দুই সপ্তাহে সারা দেশে শুধু ‘করোনা সংক্রমণের উপসর্গে’ মারা গেছেন ৪৮৬ জন।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৪২ জন মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগে। আর সংস্থাটির দেওয়া তথ্য মতে, সবমিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৯৩৯ জন।

শনিবার (১০ জুলাই) দেশের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও)। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) একটি প্রকল্প। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির আর্থিক সহায়তায় কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে বিপিও।

গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, দেশে এ পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রামে মারা গেছেন ১০৪ জন। তবে করোনার উপসর্গে সর্বোচ্চ ২৭০ জন মারা গেছেন রাজশাহী জেলায়। এরপর কুমিল্লায় ২৫২ জন, সাতক্ষীরায় ২৪৫ জন, চাঁদপুরে ১৬১ জন, খুলনায় ১৪৯ জন, বরিশালে ৯৮ জন, ঢাকায় ৯২ জন, বগুড়া ও ফরিদপুরে ৭১ জন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে।

অন্যদিকে বিভাগের মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৪২ জন মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগে। খুলনা বিভাগে এই সংখ্যা ৬৬২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫২৪ জন, ঢাকা বিভাগে ৪৬৪ জন, বরিশাল বিভাগে ২৫৩ জন, সিলেট বিভাগে ১০৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৬ জন ও রংপুর বিভাগে ৯৫ জন মারা গেছেন।

এখন পর্যন্ত উপসর্গে মৃতের মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা পাঁচ গুণ। এ পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে নারী মারা গেছেন ৪৮৯ জন, আর পুরুষ মারা গেছেন ২ হাজার ৪৫০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ১৮৯ জনের।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!