গালি দেওয়ায় হেলপারের হাতে ঘুমন্ত চালক খুন, আদালতে স্বীকারোক্তি
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার শরাফত উল্লাহ পেট্রোল পাম্প এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের ভেতর থেকে চালকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। এ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন হেলপার নাঈম। পরে সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আল ইমরান তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এর আগে গত ২৫ জুন সকালে চান্দগাঁও পুরাতন থানা এলাকার শরাফত উল্লাহ পেট্রোল পাম্প এলাকা থেকে কাভার্ড ভ্যানের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় চালক রাকিবুল ইসলাম (২৪) রাকিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকেই সন্দেহের তীর ছিল হেলপার নাঈমের দিকে। পুলিশ সেই পথ ধরেই তদন্ত চালিয়েছিল। খুনের সপ্তাহ না পেরোতেই রাঙ্গামাটির বোনের বাসায় আত্মগোপনে থাকা নাঈমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর খুনের বিস্তারিত জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।
চান্দগাঁও থানার এসআই আব্দুল কাদের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে জানান, গত ২৫ জুন রাত ১টার দিকে কার্ভাড ভ্যানটি নগরীর কদমতলী এসকে ট্রান্সপোর্ট থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য যাচ্ছিল কালুরঘাট শিল্প এলাকায় পেপসি কোম্পানিতে। চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি থেকে গাড়িটি কালুরঘাট নিয়ে যাওয়ার জন্য হেলপার নাঈমকে বলেন চালক রাকিব। এসময় চালক-হেলপারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে চালক তার দুই বছরের হেলপার নাঈমকে গালি দেন। এরপর ক্ষোভ থেকে চালকের আসনে থাকা হেলপার নাঈম বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্সের সামনে গাড়ি পার্ক করে গাড়িতে থাকা বালতির দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন ঘুমন্ত চালককে। পরে মৃত চালককে নিয়ে এক কিলোমিটার দূরে শরাফত উল্লাহ পেট্রোল পাম্পের সামনে গাড়ি পার্ক করে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান। সেখান থেকে প্রথমে নিজের বাড়ি খাগড়াছড়ি এরপরের দিন রাঙ্গামাটিতে বোনের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকেন হেলপার নাঈম।