‘গাঁজা বেচাকেনায়’ বৌ স্বামী শাশুড়ী—মেয়ের জামাই ধরা পড়লে শাশুড়ী ছুটেন হাইকোর্টে

সম্পর্কে তারা স্বামী, স্ত্রী, শাশুড়ী। করেন গাঁজার ব্যবসা। এই ব্যবসারও আছে একটি চটকদার গল্প।

এদের মধ্যে জাকির গাঁজা কিনে আনেন। এই ব্যবসায় বিনিয়োগও তার। স্ত্রী আর শাশুড়ি সেগুলো মিলে করেন বিক্রি। জামাই যখনই গ্রেফতার হয়, শাশুড়ি তখনই ছুটেন ঢাকায়। জামিন করিয়ে আনেন হাইকোর্ট থেকে! শুধু গত এক বছরেই তিনবার জেলে যায় জাকির। তিনবারই হাইকোর্ট থেকে জামিন করিয়ে আনেন শাশুড়ি হনুফা!

শুধুমাত্র জামিন করিয়ে আনাই নয়; মাদক বিক্রির সুবিধার্তে শাশুড়ি বিভিন্ন শহুরে বাসায় কাজ করেন। কোন নির্দিষ্ট এলাকায় কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পেয়ে গেলেই সেই এলাকার কাজ ছেড়ে দেন তিনি। নতুন এলাকায় যান। নতুন বাসায় কাজ ঠিক করে নেন। এভাবেই চলতে থাকে তাদের গাঁজার ব্যবসা।

এই স্বামী, স্ত্রী, শাশুড়ীর মাদক সিন্ডিকেট তিন কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার হয়েছে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা পুলিশেত হাতে৷ শুক্রবার (২১ মে) গভীর রাতে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১৭ ও ১ নং রোড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. জাকির হোসেন প্রকাশ গাঁজা জাকির (৩৩), রিতা আক্তার (২২) এবং বিবি হনুফা (৪৫)। জাকির ও রীতা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী, হনুফা রীতার মা। এই তিনজন আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকায় ফেন্সিডিল ও গাঁজার ব্যবসা করে আসছিল।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শুক্রবার গভীর রাতে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১৭ নম্বর রোডের বুড়ি মা’র মাজারের সামনে থেকে স্বামী, স্ত্রী ও শাশুড়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সাথে ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩ কেজি গাঁজা। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আগ্রাবাদ সিডিএ ১ নম্বর রোড বলিরপাড়া আমিনুল হক মেম্বারের বাড়ির সালাউদ্দিনের দোতলা বাসা থেকে আরও ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।’

ওসি মহসীন আরও জানান, এখন গাঁজা বিক্রি করলেও আগে ফেন্সিডিল বিক্রি করত তারা। জাকিরের বিরুদ্ধে এর আগেও তিনটি মামলা রয়েছে। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!