খোলা তারের স্পর্শে লোহাগাড়ায় প্রাণ গেল নির্মাণ শ্রমিকের

মাদ্রাসা ভবনের কাজ করার সময় খোলাতারের স্পর্শে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১টায় লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজানে পশ্চিম কলাউজান বাংলা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান (২১) হাটহাজারীর চারিয়া এলাকার ফজলুল করিমের ছেলে।

জানা যায়, এলাকার খাদিজাতুল কোবরা মহিলা মাদ্রাসার চারতলা ভবনের কাজ করছিল আবদুল মান্নান কন্ট্রাকটরের লোকজন। নিহত মিজান দ্বিতীয় তলায় পাইপ-ফিল্টারের কাজ করত। প্রতিদিনের মতো কাজ করার সময় কোন এক ফাঁকে ভবনের পাশে দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনের কাভার ছাড়া তারের সংস্পর্শে তার মৃত্যু হয়।

নির্মাণ শ্রমিক নিরব, ইমরান, কালাম ও রিয়াজ জানান, তারা ভবনের ৪র্থ তলায় ও নিহত মিজান দ্বিতীয় তলায় কাজ করতেন। দুপুর সাড়ে বারটার দিকে ভবনের পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ তারে হঠাৎ বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণ পর আগুন নিভেও যায়। দুপুরে খাওয়ার সময় হলে নিহত মিজানকে খোঁজাখুঁজি করে তার সহকর্মীরা। এ সময় তারা কিছু একটা পোড়ার গন্ধ পাওয়ায় নিচে তাকিয়ে দেখে তাদের সহকর্মী বিদ্যুতের তারসহ নিচে পড়ে আছে। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে লাইন বন্ধ করা এবং লোহাগাড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে মিজানকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

এ সময় স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় বছরখানেক আগে একই তারে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরও কর্তৃপক্ষের কোন হুশ নেই।

পল্লী বিদ্যুৎ লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম সরোয়ার জাহান বলেন, ‘একবছর আগে একই তারে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন এবং কাভারবিহীন তার খুব শীঘ্রই কাভার যুক্ত করা হবে।’

লোহাগাড়া থানার ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে এসআই অজয় দেব শীলসহ পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের সুরতহাল শেষে আইনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!