খুলশীর স্ক্রু ডাইভার খুনে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার ঢাকা থেকে

চট্টগ্রামের স্ক্রু ডাইভার দিয়ে যুবক হত্যার ঘটনায় সোহেল (২২) নামের এক যুবককে ঢাকার মালিবাগ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার সকাল ৮ টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী।

সোহেল পেশায় অটো রিকশার মিস্ত্রি। সে কুমিল্লার চন্দিনার বাসিন্দা হলেও থাকতেন চট্টগ্রামে আমবাগান এলাকায়।

ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, সোমবার নাহিদ খুনের পরেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পালিয়েছিল সোহেল। চট্টগ্রামে তাকে না পেয়ে খুলশী থানা পুলিশের একটি দল ঢাকায় যায়। আজ সকালে মালিবাগে রাস্তা থেকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর সোহেল পুলিশকে বলেছেন— নাহিদ ও সে বন্ধু ছিল। শনিবার ঝাউতলা এলাকায় নাহিদরা মারামারি করতে গিয়েছিল। সে না যাওয়ায় গতকাল (রোববার) রাতে নাহিদ কারণ জানতে চায়।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালখান বাজারের এক আওয়ামী লীগ নেতার অনুসারী ও কাউন্সিলরের হিরণের অনুসারীদের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি হয়েছিল।

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির পর সোহলকে মারধর করে নাহিদরা। তখন সোহেল হাতে থাকা স্ক্রু ডাইভার দিয়ে নাহিদের বুকে আঘাত করে।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে নাহিদ খুন হয়।গুরুতর অবস্থায় নাহিদকে স্থানীয় মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সিসি ক্যামেরা থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজেও সোহেলকে মারধর করতে দেখা গেছে। তাকে চট্টগ্রামে নেওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।

এদিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের পেছনে নিহত নাহিদের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, তার বোন তামান্না আক্তার যুঁথি বিলাপ করছেন। নাহিদের ছোট দুই ভাই নাইম ও সিয়ামও কাঁদছে ভাই হারানোর যন্ত্রণায়।

যুঁথি আরো বলেন, আমার ভাই কোন রাজনীতি করতো না। কাজ থেকে এসে আম্মুকে নাস্তা দিতে বলে। নাস্তা খেয়ে কমিশনার কার্যালয়ের সামনে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে ভাই আর ফিরে আসেনি। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।

তিনি বলেন, আমার আব্বুর একার আয়ে সংসার চলছিল না বলে, লেখাপড়ায় ছেড়ে দিয়ে আমার ভাই কাজে নেমে পড়েছে। শনিবার রাতে ভাত খেতে খেতে বলছিল সে বিদেশে যাবে। পাসপোর্ট ও ভিসার জন্য কাকে যেন বলেছে। আমার ভাইয়ের আর আশা পূরণ হলোনা।

এদিকে নাহিদ খুন হওয়ার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। দাফনের কাজ শেষ করে স্বজনরা মামলা করবে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

এইচটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!