কুতুবদিয়ায় জেলেকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

কুতুবদিয়ায় জেলেকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ 1নিজস্ব প্রতিবেদক : কুতুবদিয়ায় কোস্টগার্ড কর্তৃক আটক জেলে সেলিম উদ্দিন জসিমকে কুচক্রি মহলের ইন্ধনে অস্ত্র দিয়ে ফাসাঁনোর অভিযোগ করেছে তার পরিবার ও এফবি আল্লাহ দান বোটের মালিক গোলাম কাদেরের পুত্র নবী হোসেন। আটক জসিম বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের শুকলাল পাড়ার ইউছুফ আলীর ছেলে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কোস্টগার্ড তাকে ২টি অস্ত্র ও ৩টি ছোরাসহ আটক করেছে বলে দাবী করে। যার ধারাবাহিকতায় কোস্টগার্ড কুতুবদিয়া পেটি অফিসার সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং কুতুবদিয়া থানা ০৪/১৭ইং।

বোটের মালিক ছনুয়া এলাকার গোলাম কাদেরের পুত্র নবী হোসেন বলেন, গত ১মাস আগে আমার পিতা মাছ ধরার একটি ফিশিং বোট তৈরি করে। যা মাছ ধরতে মাত্র দুইবার সাগরে যায়। তারপর থেকে আমাদের একই এলাকার বাসিন্দা মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র চিহ্নিত মানবপাচারকারী বহু মামলার আসামী শফিউল আলম শত্রুতা করে আসছিলেন। তিনি ছাড়া আর কেউ বোটের মালিক থাকতে পারবেনা বলে প্রকাশ্যে বলাবলি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি রাজাখালীর বামুলা পাড়ার মৃত গোলাম নবীর পুত্র বদিউল আলম, রহমত উল্লাহ্র পুত্র জয়নাল আবদীন, সুন্দরী পাড়ার নুরুল হক মাঝির পুত্র জাকের হোসেন, কুতুবদিয়ার কালু ডাকাত, শাহিদ মাঝি ও ছনুয়ার বাবুল্যাসহ আরো কয়েকজনকে দিয়ে বলায় আমাদের মালিকনাধীন বোটটি ডাকাতি করার জন্য দিতে বলে। আমরা তাতে অপরাগত প্রকাশ করলে শফিউল আলমের নেতৃত্বে উল্লেখিত ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে হুমকি দেয় আমাদের ক্ষতি করবে বলে। যার কারণে কোস্টগার্ড কুতুবদিয়ার মামলার বাদিসহ আরো কয়েকজনকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে তারা বোটটি ডাকাতির বোট হিসাবে পাকড়াও করার চেষ্টা করে। সর্বশেষ গত ৭ তারিখ বোটটি নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বরফ নেওয়ার জন্য রাজাখালীর সুন্দরী পাড়ারস্থ বরফ মিলে নোঙ্গর করে। এদিন সন্ধ্যায় আমাদের অনুপস্থিতির সুযোগে উল্লেখিত চক্রান্তকারীরা আমার বোটের শ্রমিক সেলিম উদ্দিন জসিমকে জোর করে বোটে নিয়ে যায়। তাকেসহ আমার বোটটি কুতুবদিয়া থানায় নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি তাকে ২টি অস্ত্র ও ছোরাসহ আটকের কথা বলে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অথচ সে একজন নিরহ লোক। তার স্ত্রী ও একটি ছেলে একটি মেয়ে রয়েছে। তার একার আয়ে চলত সংসার। এখন তারা অনাহারে অর্ধাহারে দিনাপাত করছে।

এসময় তিনি আরো বলেন, বোটটি কুতুবদিয়া থানায় নিয়ে যাওয়ার পর শফিউল আলমের নেতৃত্বে জাকের হোসেন, বদিউল আলম ও জয়নাল আবদীন ফোন দিয়ে আড়াই লাখ টাকা দিলে বোটটি ছেড়ে দিবে বলে আমাকে জানায়। আমার আত্মীয় রেজাউল করিমের কাছেও ফোন দিয়ে তারা টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। আমরা রাজি না হওয়ায় নিরহ একজন লোককে অস্ত্র দিয়ে তারা ফাঁসিয়েছে। তারা স্বীকৃত মানবপাচারকারী, ডাকাত ও জলদস্যু। প্রতিনিয়ত তারা সাগরে বিভিন্ন জনের বোট ডাকাতি করে। তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। প্রতিদিন আমাদের হুমকি দিচ্ছে এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে লাশগুমসহ হত্যা করা হবে। নিরহ ও অসহায় জসিমের পরিবার ও আমরা তাদের হুমকিতে চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে ন্যায় বিচার দাবী করছি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!