কী দোষ করেছিল এই গরুগুলো?

সীতাকুণ্ডের খামারে আগুনে পুড়ল ১৪ গরু

দক্ষিণ রহমতনগরের বাসিন্দা নুরুল আফছার কোম্পানির গরুর খামারে ও একটি বসতঘরে শুক্রবার রাতেই আগুন লাগে। আগুনে বসতঘরসহ জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং গরুর খামারে থাকা গাভী, ষাড় ও বাছুরসহ ১৪টি গরু আগুনে প্রায় ৩০-৪০ ভাগ পুড়ে যায়। পরে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া গরুগুলো উদ্ধার করে।

সীতাকুণ্ডে পূর্ব শক্রতার জের ধরে রাতের আঁধারে একটি গরুর খামারে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়েছে ১৪টি গরু। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার মুরাদপুর দক্ষিণ রহমতনগরের লক্ষণদিঘী এলাকায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

আগুনের সূত্রপাতের বিষয়টি সন্দেহজনক বলছে ফায়ার সার্ভিস। এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. ওয়াশি আজাদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, রাতে গরুর খামারে আগুন লাগার বিষয়টি জানার পর খুব অল্প সময়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে খামারের গরুগুলো উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি বিদ্যুতের শর্টসার্কিট অথবা উচ্চ দাহ্যপদার্থ পেট্রোল, অকটেন ও কেমিক্যাল যা খুব দ্রুত আগুন ছড়ায়। পুলিশি মামলা পরবর্তী তদন্তে আগুনের সঠিক কারণ বের হয়ে আসবে।

sitakunda-burnt-cows

জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ রহমতনগরের বাসিন্দা নুরুল আফছার কোম্পানির গরুর খামারে ও একটি বসতঘরে শুক্রবার রাতেই আগুন লাগে। আগুনে বসতঘরসহ জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং গরুর খামারে থাকা গাভী, ষাড় ও বাছুরসহ ১৪টি গরু আগুনে প্রায় ৩০-৪০ ভাগ পুড়ে যায়। পরে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া গরুগুলো উদ্ধার করে।

ক্ষতিগ্রস্থ আফছার কোম্পানি বলেন, ‘আমার সাথে দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজন লোকের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ওসি তদন্ত মো. আফজল হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন ফায়ার সার্ভিসের মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!