কর্ণফুলীবাসীর জন্য বরাদ্দ নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের

সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও বেড়িবাঁধের যথাযথ সংস্কার না হওয়ায় বর্ষায় আতংকে থাকতে হয় কর্ণফুলীবাসীদের। উপজেলার শিকলবাহা, চরলক্ষ্যা, চরপাথরঘাটা, বড়উঠান, জুলধা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এখনো বেড়িবাঁধ মেরামত হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর শিকলবাহা খালের গত বর্ষায় ভেঙে যাওয়া বাঁধের মেরামত এখনো শেষ হয়নি। বিভিন্ন স্থানে মাটি কেটে যেসব বাঁধ দেওয়া হয়েছে সেগুলো জোয়ারের পানির ধাক্কায় যে কোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে দৌলতপুর, শাহমীরপুর, ডাঙ্গারচর, শিকলবাহাসহ বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। এতে আগামী বর্ষায় জলোচ্ছ্বাসের আতংকে আছে এখানকার বাসিন্দারা।

ডাঙ্গারচরের স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম হৃদয় বলেন, ‘৯১- এ কথা আমার এখনো মনে আছে। তখন আমি ছোট ছিলাম। আমাদের এলাকায় তখন ঘূর্ণিঝড়ে অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছিলো প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিলো। ঘূর্ণিঝড়ের এতো বছর পার হলেও এখনো হয়নি বেঁড়িবাধ। কর্ণফুলী নদীর জোয়ার ও বৃষ্টির পানি বাড়লে এলাকা প্লাবিত হয়ে ঘরের ভেতরে আসে।আমাদের জরুরি প্রয়োজন বাঁধ।’

শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কর্ণফুলী নদী ও শিকলবাহা খালের ভাঙ্গনে অনেকটায় বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। বর্ষা আসলে জোয়ার ও বৃষ্টির পানি একসাথে ঢুকে পড়ে এলাকায়। শিকলবাহাকে রক্ষা করতে হলে পুরো এলাকার চারদিকে বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এলাকাবাসীকে বাঁচাতে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী জানান, কর্ণফুলীবাসীর জন্য জরুরি প্রয়োজন একটি বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড যে বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছে তা উপজেলাবাসীর কোন কাজে আসবে না। তাই কর্ণফুলীকে রক্ষা করতে একটি টেকসই বাঁধ খুবই প্রয়োজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী সৃজেন চাকমা বলেন, আনোয়ারা উপজেলার বরাদ্দকৃত থেকে কর্ণফুলী উপজেলার পাঁচ কিলোমিটারের বাঁধের নির্মাণকাজ চলছে। উপজেলার জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ নেই। কর্ণফুলী উপজেলার বেঁড়িবাঁধ নির্মাণে আলাদা বরাদ্দের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!