করোনা ভাইরাসমুক্ত ঘোষণা ছাড়া জাহাজ ঢুকবে না বহির্নোঙ্গরে

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে জাহাজ আসার আগেই ঘোষণা দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে সেটি করোনা ভাইরাসমুক্ত। বন্দরের রেডিও কন্ট্রোল বিষয়টি নিশ্চিত করে এরাইভাল বুকে লিপিবদ্ধ করে রাখবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌ বিভাগের সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে স্থানীয় শিপিং এজেন্টদের বিষয়টি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করার বিষয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনে খবর প্রকাশের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ১০টি জাহাজ আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এর মধ্যে নিয়মিত চীন থেকে আসা জাহাজ থাকে দুই থেকে তিনটি। প্রতিটি জাহাজে ৩৫ থেকে ৪০ জন ক্যাপ্টেন-প্রকৌশলী থাকেন। তাদের অনেকেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করছে। কিন্তু থার্মাল স্ক্যানার বা কোনও ধরনের মেডিকেল চেকআপ ছাড়াই তারা বন্দর থেকে নগরে ঢুকে যাচ্ছে।

এর আগে বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন জাহাজ ভিজিট করে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সব আমরা দেখছি। এখনও করোনা ভাইরাসের মতো কিছুই পাওয়া যায়নি। পরশু ইউরোপ ঘুরে চীনের দুটি জাহাজ এসেছে। তাদের মধ্যে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে আমরা সতর্ক আছি।’

তিনি বলেন, ‘চায়না থেকে আসা জাহাজ শতভাগ পরীক্ষা করা হচ্ছে। মৌখিকভাবে প্রস্তাব রেখেছি চায়না থেকে আসা জাহাজের লোকদের যেন বন্দরে নামতে না দেয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

মোতাহার হোসেন আরও জানান, গত সোমবার দুটি চীনা জাহাজ বন্দর জেটিতে ভিড়েছে। করোনা ভাইরাস চেক করার জন্য আমাদের কাছে বিশেষ যন্ত্র থার্মাল স্ক্যানার বা ইনফ্রারেড স্ক্যানার নেই। এরপরও জাহাজের ক্যাপ্টেনের কাছ থেকে এ ধরনের সংক্রমিত রোগ আছে কিনা লিখিত নিই। লিখিত পাওয়ার পর নাবিকদের মধ্য থেকে আমরা দৈবচয়নের ভিত্তিতে স্যাম্পল করে পরীক্ষা করে দেখেছি। এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনও রোগীর সন্ধান মেলেনি।

তথ্য গোপন করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীসহ জাহাজ ভেড়ার সম্ভাবনা দেখছেন কিনা জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌ বিভাগে সহকারী হারবাল মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, তথ্য গোপন করবে না জাহাজের ক্যাপ্টেনরা। কারণ এতে ক্যাপ্টেনের ফায়দা হবে না। রোগী থাকলে তাকে তো চিকিৎসা দিতে হবে। তাই গোপন রাখতে পারবে না। এছাড়া নিয়মিত চেকআপ হিসেবে আমাদের চিকিৎসকরা তো জাহাজের সব সদস্যকেই পরীক্ষা করবে। এতে রোগ নির্ণয় হয়ে যাবে। তাই গোপন করার সুযোগ নেই।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!