অস্ত্র মামলার পর এবার চাঁদাবাজির প্রমাণ মেলেনি চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে। ২০১৮ এক কোচিং ব্যবসায়ীকে মারধর ও চাঁদা দাবির ঘটনায় বেশ আলোচিত হন তিনি। কিন্তু চাঁদাবাজির অভিযোগ থেকে আদালত তাকে অব্যাহতি দিলেও মারধরের ঘটনার বিচার শুরুর আদেশ দেন।
সোমবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ মুহাম্মদ আমিরুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে চলতি বছরের ২০ জুন হাটহাজারীতে ভোটকেন্দ্রে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি দেখেননি বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন চার বিজিবি সদস্য। সেই মামলায়ও রনিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মূলত কোচিং সেন্টারের ওই ঘটনার পরই ২০১৮ সালে স্বেচ্ছায় দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি নেন রনি।
মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালেরর ১৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি আ্যাডমিশন কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়া বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি করেন। তদন্তের ভার যায় ডিবির কাছে, তদন্ত শেষে পরের বছর ২৩ জানুয়ারি রনিসহ দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক বিশ্বজিৎ বর্মন।
রনির আইনজীবী আ্যাডভোকেট মিঠুন বিশ্বাস জানান, নুরুল আজিম রনিকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা চাঁদাবাজির বিষয়টি যে মিথ্যা, তা আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছি। মারামারির বিষয়টিও যে মিথ্যা আমরা তা প্রমাণ করবো। আমাদের স্বাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে মহামান্য আদালত রনিকে চাঁদাবাজির ঘটনা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তবে মারামারির অভিযোগে দণ্ডবিধি ৩২৩, ৩৪২ ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
নূরুল আজিম রনি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ থেকে শিবির তাড়ানো ও নগরীর সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন যৌক্তিক আন্দোলনে পাশে থেকে সুনাম কুড়ান।
বিএস/ডিজে