এবার করোনা জয় করে বাড়ি ফিরলো ১০ মাসের শিশু

সুস্থ হয়েছেন কাট্টলীর সবজি বিক্রেতাও

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হওয়া সেই ১০ মাসের শিশু ও ৫৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ সুস্থ হয়েছেন। এবার বাড়ি ফিরবে তারা। জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থেকে টানা ১০ দিনের লড়াই শেষে সুস্থ হয়েছে চন্দনাইশের সেই ১০ মাসের ছোট্ট শিশুটি। একইসাথে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) চিকিৎসাধীন থাকা কাট্টলী এলাকার ৫৭ বছর বয়সী রোগীও করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন।

শনিবার (২ মে) চট্টগ্রামের করোনা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত দুই হাসপাতাল থেকে করোনামুক্ত হয়ে তারা বাড়ি ফিরছেন বলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন পৃথক দুই হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের চিকিৎসকরা। এ পর্যন্ত জেনারেল হাসপাতাল থেকে ১৮ জন এবং বিআইটিআইডি থেকে ২ জনসহ মোট ২০জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

ছাড়পত্র পাওয়া শিশুর বিষয়ে জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের সমন্বয়ক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা ১০ মাসের শিশুটিকে কিছুক্ষণ আগে ডিসচার্জ (ছাড়পত্র) দিয়ে দিয়েছি। বাড়ি ফিরে যাবে। পরপর নমুনা পরীক্ষায় তার কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে। শিশুটি এখন সুস্থ।’

একই বিষয়ে চন্দনাইশের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে শিশুটির মায়ের সাথে কথা হয়েছে। শিশুটি এখন পুরোপুরি সুস্থ। তারা বাড়ি ফিরে যেতে পারবে।’

অন্যদিকে একই পরিবারের তিনজনই করোনা পজিটিভ হওয়া রোগীরা কাট্টলীর বাসিন্দা। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ ইদ্রিস সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজের (বিআইটিআইডি) পরিচালক ডা. এম এ হাসান বলেন, ‘৫৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইদ্রিস পরপর দুই নমুনায় কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসায় তিনি ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরছন। তার পরিবারের আরও দুজন সদস্য বিআইটিআইডি’র পজিটিভ কেয়ার ইউনিটে আছেন। একজন তার পুত্র ও অন্যজন তার কন্যা। গতকালকের (শনিবার) নমুনা পরীক্ষায় তার মেয়ের আবার কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে।’

একই প্রসঙ্গে সুস্থ হওয়া ইদ্রিস আলীর ছেলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমাদের পরিবারের তিনজন আক্রান্ত হয়েছি। আজকে বাবা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে চলে গেছে। আমি আর বড় আপু এখনো আছি। বড় আপুর গতকালকেও পরীক্ষায় আবার পজিটিভে এসেছে। আমার রিপোর্ট এখনও আসেনাই। তবে আমরা এখন ভালো আছি।’

প্রসঙ্গত, শনিবার ২ মে ছাড়পত্র পাওয়া দুইজনসহ চট্টগ্রামে মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ জন। চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮। তাদের মধ্যে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে।

এসআর/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!