এই শীত শীত নয়, হাড় কাঁপাবে আসছে মাঘ

পৌষের শুরুতে শীতের প্রভাব থাকলেও মাঘে আরও ঘটা করে আসতে শুরু করেছে হাড়কাঁপা শীত। পৌষের শেষ ঘটায় মাঘ মাসকে সঙ্গী করে বাতাসের আদ্রতায় দাপুটে প্রভাবে আসলো শীত। দেশের উত্তরাঞ্চলে আরও আগেই শীতের তীব্রতা টের পেলেও গেলেও চট্টগ্রামে শীতের প্রকোপ ছিল তুলনামূলকভাবে কম। পৌষের শুরুতে চট্টগ্রামে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও দিনের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিক। মাঝে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আর মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থাকায় শীতের তীব্রতা উঠানামার ভেতরেই ছিলো। পৌষের শেষের দিকে দিনের তাপমাত্রা মোটামোটি থাকলেও রাতে তাপমাত্রা কমবে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতে তাপমাত্রা কমে আরও। হিমালয়ের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বাতাস বয়ে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৮ থেকে ৩০ কিলোমিটার।

এদিকে, সারাদেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও চট্টগ্রাম এখনও শৈত্যপ্রবাহের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতর ওঠানামায় থাকবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বাতাসের আদ্রতার কারণে রাতের তাপমাত্রা কমলেও স্বাভাবিক থাকবে দিনের তাপমাত্রা। তবে আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত দুইদিনের তাপমাত্রা মোটামুটি ছিল। এখন ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। বাতাসের আদ্রতা খুবই কম যার কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে জানুয়ারি মাসের শেষদিকে শীত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ আসলে অনুভূত হয়নি। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামলে শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয় না। আর চট্টগ্রামে ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে উঠানামা করছে তাই এই তাপমাত্রাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা যাবে না। শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও উত্তর পূর্ব দিক থেকে বাতাস বয়ে যাওয়ায় আর বাতাসের আদ্রতা কম থাকায় শীত পড়ছে।’

উত্তরে হিমবায়ু আর বাতাসের গতিবেগ ধীরে ধীরে বাড়ায় নগরীতে শীতে কাঁপন ধরিয়েছে। আরও বাড়তে পারে মাসের শেষদিকে। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষেরা। অন্যদিকে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে চমেক হাসপাতালেই ঠান্ডাজনিত রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন প্রায় ২ হাজার ৮০০ মানুষ। এরমধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা.আখতারুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শুরুর দিকে রোগীর চাপ থাকলেও এখন কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আরও বছর সাতেক আগে শীত এলে শিশুদের নিউমোনিয়া দেখা দিতো। এখন সেই হার অনেক কমে গেছে। তবে এখন ঠান্ডায় শিশুদের তুলনায় হৃদরোগে আক্রান্ত বয়স্ক রোগীর সংখ্যায় বেশি।’

এসআর/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!