উত্তরাঞ্চলের কমান্ডার হয়ে দুর্ধর্ষ জঙ্গির রাজীব গান্ধী দেশেই আছেন! খুঁজছে পুলিশ :

ঢাকা প্রতিদিন :

সাম্প্রতিক জঙ্গি কর্মকাণ্ডের তদন্তে আরও তিনজনের নাম পেয়েছেন তদন্তকারীরা, যাদের মধ‌্যে ‘রাজীব গান্ধী’ ছদ্মনামের একজন গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার ঘটনায় ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ভূমিকা রেখেছিলেন বলে দাবি পুলিশের। খুঁজছে পুলিশ।

image_1667_255932

 

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, রাজীব গান্ধী ওরফে সুভাষ গান্ধী ওরফে গান্ধী নামে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ওই ব‌্যক্তি কাজ করছিলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জেএমবির ‘উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার’ হিসেবে।

“তার প্রকৃত নাম আমরা জানতে পারিনি। গুলশানের ঘটনার আগে দুজন এবং শোলাকিয়ার ঘটনার আগে একজন একজন টেরোরিস্টকে সে নিজে উত্তরবঙ্গ থেকে পাঠিয়েছিল, যাদের সে আগেই প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।”

 

সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কার্যালয়ে পুলিশের জঙ্গি দমন অভিযানের অগ্রগতির তথ‌্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

 

তিনি বলেন, মারজান, রিপন ও খালিদ ছাড়াও রাজীব গান্ধী নামে দুর্ধর্ষ এক জঙ্গির নাম এসেছে, যিনি এখনো দেশেই আছেন বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন। “রিপন ও খালিদ ইন্ডিয়াতে আছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, গত এপ্রিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের পর তারা ভারতে চলে যান।

images

গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলার জন্য যখন অভিজ্ঞ জঙ্গি সরবরাহের প্রয়োজন হয়, তখন রাজীব গান্ধী গুলশানের ঘটনার জন্য দুজন (উজ্জ্বল ও পায়েলকে) ও শোলাকিয়ার ঘটনার জন্য একজন জঙ্গিকে (শফিউল) উত্তরবঙ্গ থেকে পাঠিয়েছিলেন।

বাসারুজ্জামানের বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, এই ব্যক্তি সংগঠনে চকলেট নামে পরিচিত। তাঁরও একটা বড় ভূমিকা ছিল গুলশানের ঘটনায়। রাজধানীর আজিমপুরের অভিযানে বাসারুজ্জামানের স্ত্রী ফেরদৌসী আরেফিন গ্রেপ্তার হন। সেখান থেকে তাঁদের এক বছরের শিশুকন্যাকেও উদ্ধার করা হয়। শিশুটিকে তাঁর নানার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আজিমপুর থেকে উদ্ধার করা মেজর (অব.) জাহিদের শিশুকন্যাকে তার নানা-নানির হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। তানভীর কাদেরির কিশোর ছেলেকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিশেষ রিপোর্ট :

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!