ইতিহাস গড়ে ফাইনালে যাওয়া হলো না আবাহনীর

২-০ গোলে হেরেছে আবাহনী

এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে উত্তর কোরিয়ার দল এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ এসসির বিপক্ষে নেমেছিল ঢাকা আবাহনী। ন্যূনতম ড্র করলেই এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক ফাইনালে খেলার টিকিট পাবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা, এমন সমীকরণে নেমেছিল আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। তবে, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা তীরে এসে তরী ডুবিয়েছে। ২-০ গোলে হেরেছে আবাহনী।

উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ংয়ে আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টির লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশের পেশাদার লিগে সর্বোচ্চ ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ অ্যাগ্রিগেটে হেরে ইন্টার জোনালের ফাইনালের টিকিট কাটতে ব্যর্থ হলো আবাহনী।

বুধবার (২৮ আগস্ট) পিয়ংইয়ংয়ের কিম (২) সাং স্টেডিয়ামে নামে আবাহনী। প্রথমার্ধে কোনো গোল হজম করেনি আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯তম মিনিটে ইয়ো সং কিমের গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা। ৭০ মিনিটের মাথায় আবাহনীর রুবেল মিয়া লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় সফরকারীরা। ম্যাচের ৮৩ মিনিটের মাথায় দলের এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সং কিম। বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে আর ৫-৪ অ্যাগ্রিগেটে এগিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে কোরিয়ান জায়ান্টরা।

এর আগে ঘরের মাঠে উত্তর কোরিয়ার চ্যাম্পিয়ন দল এপ্রিল ২৫ এসসিকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়েছিল আবাহনী। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেন সানডে চিজোবা। একটি করে গোল করেছিলেন নাবীব নেওয়াজ জীবন এবং সোহেল রানা।

ম্যাচটি যে আবাহনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়েই এসেছিল, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার জন্য প্রস্তুত ছিল আকাশি-নীল বাহিনী। কারণ ইতিহাস যে হাতছানি দিয়ে ডাকছিল আবাহনীকে। তবে, শেষ অবধি ইন্টার জোনাল ফাইনালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কোনো ক্লাব হিসেবে নাম লেখানো হলো না।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!