আওয়ামী লীগের সম্মেলনে চট্টগ্রামের ৩৪৩ কাউন্সিলর, ৩ হাজার ডেলিগেট

২১তম জাতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আগামী ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এবারের সম্মেলনে কাউন্সিলর ডেলিগেট সহ চট্টগ্রাম থেকে যোগ দিচ্ছেন প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী।

চট্টগ্রামের ৩ সাংগঠনিক ইউনিট থেকে মোট ৩৪৩ জন কাউন্সিলর মনোনীত হয়েছেন এ সম্মেলনে। ডেলিগেট হিসেবে যাচ্ছেন আড়াই হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর থেকে ১১৮ জন, উত্তর জেলা থেকে ১১৭ জন ও দক্ষিণ জেলা থেকে ১০৮ জনকে কাউন্সিলর করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এর বাইরে মহানগর থেকে কাউন্সিলরের সমান সংখ্যক ডেলিগেট, উত্তর থেকে ১ হাজার ও দক্ষিণ থেকে ৫০০ ডেলিগেট এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।

মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী ২৫ হাজার জনসংখ্যার জন্য একজন কাউন্সিলর পাওয়ার কথা। সে হিসেবে নগরের ৬০ লাখ জনসংখ্যার জন্য কেন্দ্রের কাছে ২৪০ জন কাউন্সিলর চেয়ে আবেদন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। তবে নগরের জনসংখ্যা নিয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্যের বাইরে হিসেব করা যাবে না জানিয়ে সেই দাবি নাকোচ করে দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। ফলে এবারের সম্মেলনেও ১১৮ জন কাউন্সিলর নিয়ে যোগ দিচ্ছেন তাঁরা। এতে নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, নগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বে থাকা সাবেক নেতা ও নগরের ইউনিটগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়কদের কাউন্সিলর করা হয়েছে। ডেলিগেট করা হয়েছে প্রতি ইউনিট থেকে ৪ জন করে।

সব মিলিয়ে ২৩৬ জনের বহর নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড় থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে মহানগর আওয়ামী লীগ।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা থেকে কাউন্সিলর করা হয়েছে ১১৭ জনকে। সবচেয়ে বেশি ডেলিগেট যাচ্ছে এই ইউনিট থেকে। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন,‘আমাদের সাবেক কমিটির সকলকে কাউন্সিলর করা হয়েছে। বাকি কাউন্সিলরগুলো সব উপজেলায় জনসংখ্যার অনুপাতে ভাগ করে দেয়া হবে। এর বাইরে আমাদের ডেলিগেট যাচ্ছে এক হাজারের মত। প্রতি উপজেলা থেকে শতাধিক করে ডেলিগেটর যাবে সম্মেলনে’।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা থেকে যোগ দিচ্ছেন ১০৮ জন কাউন্সিলর। এই ইউনিট থেকে ডেলিগেট হিসেবে যাবেন ৫ শতাধিক নেতাকর্মী।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের জেলার পক্ষ থেকে ট্রেনের বগি ভাড়া করা হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর রাতের ট্রেনে নেতা কর্মীরা ঢাকা যাবেন। উপজেলা পর্যায় থেকেও বিভিন্নভাবে ঢাকায় যাচ্ছেন অনেকে।

তবে এসবের বাইরেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সম্মেলনে যোগ দিতে ইতোমধ্যে অনেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। আগামী দুই দিনেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক নেতাকর্মী ঢাকা যাবেন বলে বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিন ইউনিটের উদ্যোগে ২ হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে যাচ্ছে বলা হলেও সব মিলিয়ে এ সংখ্যা ৩ হাজারে গিয়ে ঠেকবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন ২০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ও দ্বিতীয় অধিবেশন ২১ ডিসেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যান্য সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান ও নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও এবার সেরকমভাবে সম্মেলন আয়োজন করছেনা আওয়ামী লীগ। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়েই এবারের সম্মেলনের পরিকল্পনা করেছে তাঁরা। এর বাইরে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!