আইন কলেজ ছাত্রলীগে অর্থই অনর্থের মূল!

৩ মাসের ব্যবধানে দুই হামলা

গেল চার মাসের মাথায় দুই বার নিজেদের মধ্যে হামলা-মামলায় জড়িয়েছে চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রলীগ। এই হামলা-মামলায় জড়িত দু’পক্ষই সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত অর্থকে কেন্দ্র করেই কলেজ ক্যাম্পাসে মুখোমুখি অবস্থানে কলেজ ছাত্রলীগ এবং ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরা। এতে প্রভাব বিস্তারের জেরে বার বার ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা। বাড়ছে বিরোধ।

সূত্র জানায়, প্রায় ৩ মাস আগে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েলের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের দু’টি পক্ষ। এদের দু’পক্ষের একটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রহমত উল্লাহ ও কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস মাহফুজুর রহমান এবং অন্যপক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্র সংসদের ভিপি আব্দুল খালেক সোহেল ও কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ ইসমাঈল হোসেন শিমুল।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজটির ছাত্র সংসদের নামে বাৎসরিক বরাদ্দ হয় প্রায় ৩ লাখ টাকা। এর বাইরে কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বই বিক্রি সহ নামে বেনামে বিভিন্ন খাতে টাকা তোলা হয়। মূলত এই টাকার ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করেই বার বার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে দু’গ্রুপ।

গেল বছর ১৯ আগস্ট দু’পক্ষের বিরোধে আহত হয়েছিল কলেজটির ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন শিমুল। ওই সময় অর্থের ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র সিটি মেয়রের অনুগত দুটি গ্রুপের বিবাদের বিষয়টি প্রথমবারের মত প্রকাশ্যে আসে। এর পর থেকেই বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে বিস্তার করছে চাপা উত্তেজনা। দু’পক্ষের বিরোধের জেরে সর্বশেষ ১৯ জানুয়ারি আক্রান্ত হোন রফিকুল ইসলাম নামে কলেজটির ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় আহত রফিকুল ছাত্র সংসদের জিএস মাহফুজুর রহমানের অনুসারী বলে জানা যায়। যদিওবা রফিকুল আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে দাবি করছেন কলেজটির ছাত্র সংসদের ভিপি সোহেল। বরং রফিকুল প্রথমে হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে রফিকুল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন,‘হামলার পর আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি ছিলাম, যার কাগজপত্র আমার কাছে আছে।

তার বিরুদ্ধে আনা হামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘প্রথম বর্ষের ছাত্র হয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলা চালানো কীভাবে সম্ভব?’

কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে আইন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন,‘ছাত্রলীগের বিরোধের ব্যাপারে আমি শুনেছি, শীঘ্রই জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবো।’

এএ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!