সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরেছেন কাঠের ট্রলারে

বৈরী আবহাওয়ায় বন্ধ জাহাজ চলাচল

বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ হলে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া শতাধিক পর্যটক ফিরছেন কাঠের ট্রলারে। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ৪টি কাঠের ট্রলারে তারা টেকনাফের কায়ুকখালী ঘাটে পৌঁছেন। তবে বেশকিছু পর্যটক এখনও সেখানে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আহমদ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার সকাল ১০টার দিকে পর্যায়ক্রমে পরিবহনে ব্যবহৃত ৪টি কাঠের ট্রলারে করে তারা টেকনাফে ফিরে যান।দুপুরে সবাই নিরাপদে টেকনাফে পৌঁছেন।

ফিরে আসা পর্যটকরা জানান, গত ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী একপ্রেস নামে একটি জাহাজে তারা সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। ২১ তারিখ তাদের ফিরে আসার কথা থাকলেও সাগরে ৩ নম্বর সংকেত জারি হওয়ায় সেদিন থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তারা সেখানে আটকা পড়েন। তবে সে সময় তাদের তেমন কোন অসুবিধা হয়নি বলে জানান।

বৈরী আবহাওয়া ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে সোমবার থেকে কক্সবাজার উপকূলে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়ে শতাধিক পর্যটক। আটকা পড়া পর্যটকদের খোঁজ খবর রাখতে স্থানীয় পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের বলা হয়েছে। সাগর শান্ত হলে জাহাজ গিয়ে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনবে।’

সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটক মারুফের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ ঢাকা থেকে বেড়াতে এসেছিলাম। কাঠের ট্রলার ঝুঁকি বলে আমরা ৬ জনের একটি দল এখনও ফিরিনি। জাহাজ চালু হলে ফিরব। দ্বীপে তেমন অসুবিধা না থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কিছুটা ভয় ভয় লাগছে।’

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস গত দুইদিন সেন্টমার্টিন রুটে চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে অন্য কোন নৌ-যান চলাচল করেনি। এতে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকা পড়ে শতাধিক পর্যটক।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!