রাঙামাটিতে যুবলীগ নেতার বহিস্কারে গণপদত্যাগের হুমকি

রাঙামাটি আট নম্বর ওয়ার্ড পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনকে ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে’ স্থায়ী বহিস্কার করা নিয়ে চরম বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। নাসির ও তার পক্ষের নেতাকর্মীরা দাবি করছেন ‘দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে গঠনতন্ত্র না মেনেই এ বহিস্কার করা হয়েছে’। আগামী সাত দিনের মধ্যে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে গণপদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

তবে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব খাঁন শিবলুর দাবি ‘চাঁদাবাজির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় গঠনতন্ত্র মেনেই নাসিরকে বহিস্কার করা হয়েছে।’

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন নাসির ও তার পক্ষের নেতাকর্মীরা। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন নাসির উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আবছার, কৃষকলীগ সভাপতি মো. মাহবুব, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মো. শফিক ছাত্রলীগ নেতা রতন গোমেজসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আব্দুল ওহাব খান একক স্বাক্ষরে গত ১৩ জানুয়ারি নাসির উদ্দিনকে বহিস্কারাদেশের চিঠি দেন। এতে বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, ‘বনরূপা এলাকায় বনবিভাগ সড়কে (ফরেস্ট কলোনি, কবরস্থানের সামনে) বিভিন্ন দোকান থেকে জেলা যুবলীগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি করে আসছেন। যা পৌর যুবলীগের একাধিক তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তাই আপনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার দায়ে আপনাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হলো।’

নাসির অভিযোগ তুলে বলেন, ‘কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রপ্রসূত চাঁদাবাজির কাল্পনিক অভিযোগ এনেছেন। এছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিস তারপর সাময়িক বহিস্কার করার গঠনতান্ত্রিক নিয়ম মানা হয়নি। এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথিত বহিস্কারের খবর ছড়িয়ে দিয়ে আমার সাথে সংগঠনকেও বিতর্কিত করা হয়েছে। অগণতান্ত্রিক ও একক স্বাক্ষরে বহিস্কারের চিঠি দেওয়ায় আমার দীর্ঘ ১৯ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!