প্রাইভেট আইসিডি (ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো) থেকে নয় খোদ বন্দর থেকেই পণ্যের চালান খালাস নিতে চান চট্টগ্রামের আমদানিকারকরা। চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় প্রাইভেট আইসিডি থেকে পণ্য খালাসে সময় ও খরচ বেশি লাগে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন চিটাগাং চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।
সোমবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে দেয়া এক পত্রে পূর্বের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বন্দর থেকে পণ্য চালান খালাসের অনুরোধ জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।
চিঠিতে তিনি, অনুমোদিত ৩৭টি পণ্যের অতিরিক্ত আমদানিকৃত পণ্য আইসিডি-তে প্রেরণ না করার জন্য এবং পূর্বের ন্যায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি খালাসের নির্দেশনা দেওয়ার আহবান জানান।
মাহবুবুল আলম চিঠিতে উল্লেখ করেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ৩৭টি অনুমোদিত পণ্যের অতিরিক্ত সব ধরণের পণ্য প্রাইভেট আইসিডিসমূহ হতে খালাসের নির্দেশনা প্রদান করে। এর ফলে বর্তমানে প্রত্যেকটি আইসিডিতে ধারণক্ষমতার কাছাকাছি কন্টেইনার অবস্থান করছে। কিন্তু এসব প্রাইভেট আইসিডিতে পর্যাপ্ত স্থান, ইকুইপমেন্ট এবং শ্রমিক স্বল্পতার কারণে মালামাল খালাসে দীর্ঘসূত্রতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যেখানে মাত্র দুই দিনে পণ্য খালাস করা যায় সেখানে আইসিডিতে পণ্য খালাসে ক্ষেত্র বিশেষে ৭-৮ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় প্রাইভেট আইসিডির চার্জ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। ফলে প্রাইভেট আইসিডি থেকে মালামাল খালাসের ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের ব্যয় অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়।
কাজেই বাড়তি ব্যয় ও পণ্য খালাসে বিলম্বের কারণে সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন যা বর্তমান মহামারী পরবর্তীতে কোনমতেই কাম্য হতে পারে না। পক্ষান্তরে, চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে সেবা প্রদান করছে বলে চেম্বার সভাপতি পত্রে উল্লেখ করেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম এ বিষয়ে বলেন, দেশীয় শিল্প ও আমদানিকারকদের অস্থিত্ব রক্ষায় অনুমোদিত ৩৭টি পণ্যের অতিরিক্ত আমদানিকৃত পণ্য আইসিডি-তে প্রেরণ না করার জন্য এবং পূর্বের ন্যায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি খালাসের নির্দেশনা প্রদানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান’র প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছি।
চিঠিতে উত্থাপিত বিষেয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান বলেন, ৩৮টি অনুমোদিত পণ্যের মধ্যে আগেও ২৫ শতাংশ বন্দর থেকে ডেলিভারি হতো। কোন আমদানিকারক ইচ্ছে করলে যে কোন পণ্য বন্দর থেকেই ডেলিভারি নিতে পারে। এই দ্বৈত নীতি পুর্ব থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরে চালু আছে।
তিনি বলেন, পণ্য চালান খালাস ও রপ্তানি করে চট্টগ্রাম বন্দরের ৩৩ শতাংশ অবদান রাখে অফডক। এখানে নতুন নিয়মে অফডকে কোন আমদানিকারক পণ্য আনতে না চাইলে আমাদের কোন সমস্যা নেই।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট বন্দর থেকে পণ্য চালান খালাসের অনুরোধ জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
এএস/কেএস