চাকরিদাতা সেই ‘মেজরের’ ৫ বছর কারাদণ্ড

পরিচয় দিতেন ‘মেজর’; তবে কখনও র্যাব কখনও সেনা বাহিনীর। মাঝখানে একবার ভুয়া ‘এসপি’ সেজে গণধোলাই শেষে জেলে ঠাঁই হয়েছিলো তার। জেল থেকে ফিরেই রাঙামাটির শহরতলীর বাকপটু আবুল হোসেন সুমন (৩০) হয়ে ওঠেন ‘চাকরিদাতা’। একাধিক মন্ত্রীর পাশে নিজের ছবি তুলে মানুষকে দেখানোই ছিল তার প্রতারণা ব্যবসার ‘পুঁজি’। এ ছবি দেখিয়ে চাকরি দেওয়ার ফাঁদ পেতে অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

প্রতারণামূলক অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় ‘চাকরিদাতা’ সেই সুমনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত এবং টাকা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (৯ মার্চ) রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএনএম মোরশেদ খানের আদালত এ আদেশ দেন। পলাতক সুমনকে গ্রেপ্তার করতে জারি করা হয়েছে পরোয়াণা।

প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মামলাটি দায়ের করেন রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি নিচের বাজারের বাসিন্দা মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল মাবুদ।

মামলার আসামি আবুল হোসেন সুমন রাঙামাটি সদর উপজেলার ৬ নম্বর বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাপমারা পাহাড় এলাকার মো. আবু আলমের ছেলে।

প্রতারণা শিকার মো. আব্দুল মাবুদ বলেন, ‘নৌ-বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে প্রতারক সুমন সাড়ে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সুবিচার পেতে ২০১৯ সালের ৭ মে আমি রাঙামাটির আদালতে (সি.আর-১৭৭/১৯) একটি মামলা করি। আজ রায় পেয়ে আমি খুশি।’

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক আবুল হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সনের পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন বাদী। আদালত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর আসামি আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০ ধারার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন।

চিফ জুডিসিয়াল আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সাক্ষীগ্রহণ ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আসামি আবুল হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪২০ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই বিজ্ঞ আদালত আজ সুমনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেন।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!