পাহাড় কেটে রাস্তা বানালো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, গাছও কেটেছে ৭ হাজার

পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসের আশেপাশে পাহাড় কেটে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করায় দায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরিমানা গুণলো ৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। একই সাথে পরিবেশের শুনানি শেষে জড়িত থাকা দুই ব্যবসায়ীকেও ১ লাখ ৬০ হাজার করে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

সোমবার (৯ মার্চ) শুনানি শেষে এ জরিমানার আদেশ দেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে সরেজমিন পরিদর্শন করে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদল। পরিদর্শনে পাহাড় কাটার সত্যতা পেয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ গাছ ব্যবসায়ী মেসার্স হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ ও শেরেবাংলা ফার্নিচার মার্টের মালিক মো. বজলকে শুনানিতে হাজির থাকার নোটিশ দেয়।

প্রসঙ্গত, গত চার বছরে ক্যাম্পাসের আশেপাশের পাহাড়ি এলাকা থেকে অন্তত সাত হাজার গাছ কাটা হয়। গাছ নিতে পাহাড় কেটে তৈরি করা হয় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা। এ নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের ভিত্তিতে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সরেজমিন পরিদর্শনে পাহাড় কাটার সত্যতা পেয়ে শুনানি শেষে এ জরিমানা করে।

আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যের এই জরিমানা পরিশোধ করতে, পাহাড়ের পূর্বের অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যতে উন্নয়ন কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ ও এ অপরাধ না করার অঙ্গীকারনামা দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয় শুনানিতে।

শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হয়ে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহবুব হারুন চৌধুরী।

এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসাথে এ ধরনের অপরাধ না করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অঙ্গিকারনামা দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ‘

এসআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!