বন্দরের কনটেইনার খালাসে নিজ প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিজিএমইএর তাগাদা

চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে আমদানিকৃত পণ্যের কনটেইনার দ্রুত খালাস করার জন্য নিজ প্রতিষ্ঠানসমূহকে তাগাদা দিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। রোববার (১২) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছেন বিজিএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি আবদুস ছালাম।

এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে শনিবার (৪ মে) বিকাল পাঁচটা থেকে সোমবার (৬ মে) সকাল ১১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে বহিঃনোঙ্গরে জাহাজ ও জেটিতে অবস্থিত কনটেইনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বন্দরের কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়ে আমদানি-রপ্তানিতে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।
ওই সার্কুলারে পোশাকশিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে বন্দর জেটিতে অবস্থিত আমদানিকৃত কনটেইনারসমূহ দ্রুত ডেলিভারি নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন আবদুস ছালাম।
সার্কুলারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বন্দর ইয়ার্ড থেকে প্রতিদিন প্রায় চার হাজার ৮০০ টিউজ এফসিএল কনটেইনার ডেলিভারি দিতে সক্ষম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে প্রতিদিন ডেলিভারি হচ্ছে গড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টিউজ।

এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সহ-সভাপতি এএম চৌধুরী সেলিম বুধবার (১৫ মে) বিকালে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে বন্দরে দুই দিন পণ্য ডেলিভারি বন্ধ ছিল। এর ফলে বন্দরে জাহাজ জটের সৃষ্টি হয়েছে। সেটাকে কমিয়ে বন্দরকে কমপোর্ট জোনে আনার জন্য আমরা আমাদের অন্তুর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে একটু তাগাদা দিলাম। যাতে তারা শুক্র-শনিবারও পণ্য ডেলিভারি নেন। বন্দর যদি সচল থাকে, সেটা আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক সবার জন্যই ভালো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাব তেমন পড়েনি। পণ্য ডেলিভারির কাজ একটু অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। ভেসেলগুলো বার্থিং হওয়ার পর ঘুর্ণিঝড়ের কারণে আবার পিছনে চলে গিয়েছিল। আর পোর্টও নন-ফাংশনাল ছিল। ফণির কারণে মেজর কোনো ক্ষতি হয়নি। যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, সেটা ওভারকাম করার জন্য দ্রুত পণ্য ডেলিভারি নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে অনুরোধ করেছি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিজিএমইিএ’র সদস্য পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে চার হাজার ৫৬০টি। এদেরমধ্যে চালু প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৬৫৩টি। এরমধ্যে আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান এক হাজার ৯০৭টি এবং সাব-কন্ট্রাটিং কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৭৪৬টি প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, বন্ধ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এক হাজার ৯০৭টি। এর মধ্যে অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্স এবং আইএলও’র কারণে বন্ধ হয়েছে ৮৮৭টি প্রতিষ্ঠান।

এদিকে, বিজিএমইএ চট্টগ্রাম অঞ্চলে মোট সদস্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬৮৬টি। এদের মধ্যে চালু প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৫১টি। এর মধ্যে ২০০টি প্রতিষ্ঠান ইউডি-সার্ভিস গ্রহণ করে থাকে এবং ১৫১টি প্রতিষ্ঠান সাব-কন্ট্রাটিং কাজে নিয়োজিত। অন্যদিকে, বিজিএমইএ চট্টগ্রাম অঞ্চলে বন্ধ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৩৫টি। এরমধ্যে ১৫৩টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্স এবং এনএপি’র (আইএলও) কারণে।

এমএ/এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!