চট্টগ্রামের চন্দনাইশ দোহাজারী এলাকার ২০ বছরের যুবক সাইফুল ইসলাম বাবু। চাকরি করতেন নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায়। করোনায় পোশাক কারখানা বন্ধ। তাই চট্টগ্রাম ফিরে এসে শহরের বাকলিয়া ডিসি রোড এলাকায় বন্ধুদের সাথে ব্যাচেলর বাসায় উঠেন। আরও চার বন্ধুকে সাথে নিয়ে মহিলাদের ভ্যানিটি ব্যাগ, মোবাইল ছিনতাই এবং পথচারীদের গতিরোধ করে মারধর ও টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া শুরু করেন বাবু। এমনই অভিযোগে বাবু ও তার বন্ধুদের ছিনতাই করা পণ্যসহ আটক করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় শুভ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি চকবাজার থেকে পূজা শেষে এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার পথে জামালখান কুসুমকুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তার রিক্সার গতিরোধ করে বাবু ও তার সহযোগীরা একটি মোবাইল সেট ও নগদ এক হাজার ৪০০ টাকা নিয়ে কেটে পড়ে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে কোতোয়ালী থানা জোবায়ের ও মামুন নামে বাবুর দুই সহযোগীকে আটক করে এবং মোবাইল সেট ও টাকা উদ্ধার করে।
একই চক্র এর আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নিউমার্কেট মোড় ফুলকলির সামনে থেকে সোমা দত্ত (৩৫) নামের এক নারীর ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই করে। ব্যাগে একটি মোবাইল সেট, নগদ এক হাজার ৮০০ টাকা এবং পাথরের একটি হ্যান্ড চেইন ছিল। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা ওই পথে তিনি আগ্রাবাদ যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীদের দেখে সোমা দত্ত ছিনতাইকারী বলে চিৎকার দিলে টহল পুলিশ বাবু, জোবায়ের ও কফিল উদ্দীনকে আটক করে। তাদের দেখানো স্থান থেকে সোমা দত্তের মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করে।
ছিনতাইকারীদের মধ্যে কফিল উদ্দিন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার আক্তার আহম্মদের ছেলে। জোবায়ের কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মোবারক হোসেনের ছেলে। এক মামুন কুমিল্লার হানিফ মিয়ার ছেলে, আরেক মামুন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এলাকার ভাসমান যুবক।
পাঁচ ছিনতাইকারী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, তারা পর পর দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনা সংঘটিত করার পর থানায় অভিযোগ আসে। দুজনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছিল। বাকি তিনজনকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আমরা আটক করি। সবাইকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এফএম/সিপি