ওমিক্রন এলেও চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখতে চান মালিকরা, প্রয়োজনে দুই সিটে একজন

১০ হাজার হোটেল-রেস্টুরেন্টে কাজ করে তিন লাখ কর্মী

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ক্রমেই চোখ রাঙাতে শুরু করলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চট্টগ্রামে হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোলা রাখতে চান মালিকরা। প্রয়োজনে দূরত্ব বজায় রেখে দুই সিটে একজন গ্রাহককে বসানোর উদ্যোগ নেবেন তারা। তবু যেন ওমিক্রনের জের ধরে এই খাতটিকে আবার বিপদে ফেলা না হয়।

চট্টগ্রামের হোটেল-রেস্টুরেন্টের মালিকরা বলছেন, আয়কর ও মুসক (ভ্যাট) দিয়ে জাতীয় রাজস্বে অনন্য অবদান রাখা হোটেল রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিগত দিনে করোনায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে যদি আবার আগের মতো হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ করা হয়, তাহলে এই খাতটি ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছে যাবে।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি ইলিয়াছ আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, করোনার প্রভাবে রেস্টুরেন্ট খাত এখন রুগ্ন। অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। দৈনিক ভাড়ায় যারা রেস্টুরেন্ট করেন তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরে ছোট বড় মিলিয়ে ১০ হাজার হোটেল-রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যেখানে প্রায় তিন লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। গণপরিবহনে যেমন অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করে, তেমনি আমরা প্রতিদিন রেস্টুরেন্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক কাস্টমারকে বসিয়ে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবো। না হয় এ সেক্টরকে রক্ষা করা যাবে না।

তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা দিয়েছে। কিন্তু হোটেল-রেস্টুরেন্ট সেক্টরে কোন শ্রমিক বা মালিক প্রণোদনাও পায়নি।

ইলিয়াছ আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ওমিক্রনের বিস্তার রোধে টিকা কার্ড ছাড়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া যাবে না বলা হলেও বাস্তব অবস্থা হচ্ছে অনেক মানুষ এখনও টিকা নিতে পারেননি। অনেকে আবার টিকা দিলেও সনদ বা কার্ড পাননি। এখন রেস্টুরেন্টের কর্মীরা যদি এমন কারও কাছে টিকার সনদ চান, তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ আবদুল হান্নান বাবু বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোকে দোকান ভাড়া, গ্যাসের বিল, পানির বিল, কর্মচারীর বেতন দিতে হয়েছে । ৮-১০টি লাইসেন্স ফলো করতে হয়েছে। সরকারি রাজস্ব দিতে হয়েছে। চট্টগ্রামে ভাল মানের ১০ হাজার রেস্টুরেন্টে ৩ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

চট্টগ্রামের চেইন রেস্টুরেন্ট হোটেল জামানের পরিচালক ছোটন জামান বলেন, রেস্টুরেন্টের সঙ্গে হোটেল মালিক শ্রমিকরা ছাড়াও একাধিক সেক্টরের যোগসূত্র রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে মানুষের জীবনমানের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে। সরকার এসব প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেই যা যা করার করতে পারে।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!