ভিডিও/ লালখানবাজারে ভাঙচুর-গোলাগুলি নিয়ে বেলাল-মাসুমের পাল্টাপাল্টি

নিজেদের কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করতে গিয়ে সেখানেও হামলার শিকার হয়েছেন নগরীর লালখানবাজার এলাকার স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলালের অনুসারীরা। তবে হামলাকারী হিসেবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই দিদারুল আলম মাসুমের দাবি—মানববন্ধন শেষে যাওয়ার পথে বেলালের অনুসারীরা ওয়ার্ড কার্যালয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছে, কার্যালয় তছনছ করেছে। যে কারণে আগামীকাল রোববার (৩০ জুন) মানববন্ধন করবেন লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা আলোচিত-সমালোচিত এই নেতা

এদিকে শনিবার বিকেলে নগরীর লালখানবাজার এলাকায় এ দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধসহ চারজন আহত হয়। তাদের এ সংঘর্ষ থামাতে খুলশী থানা পুলিশকে ছুঁড়তে হয় বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি। তবে এর আগে মনির হোসেন নামে একজন গুলিবিদ্ধের পাশাপাশি ইট-পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন সোহেল, সুমন, কামাল ও ইমন নামে চার যুবলীগ কর্মী।

লালখানবাজারের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল দাবি করেন, ‘শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে যুবলীগ কর্মী সাইদুল ইসলামকে একা পেয়ে আহত করে দিদারুল আলম মাসুম গ্রুপের কর্মীরা। আমি তখন একটি বিয়েতে পাঁচলাইশ এলাকায় ছিলাম। খবর পেয়ে সাইদুলকে দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছুটে যাই। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষে মিছিল নিয়ে বাঘঘোনা এলাকায় গেলে দিদারুল আলম মাসুম আমাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে শাটারগান দিয়ে গুলি ছোঁড়ে। তার অনুসারীরা ইট ও পাথর নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের একাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’

তবে দিদারুল আলম মাসুমের দাবি, ‘গত রাতে আমরা কারো ওপর হামলা করিনি। এ বিষয়ে কিছু জানিও না। তারা মানববন্ধন করার কথা কর্নেল হোটেল মোড়ে। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে এসে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। জাতির জনকের ছবির অবমাননা করেছে, প্রধানমন্ত্রী ও মেয়রের ছবি নষ্ট করেছে। আমরা প্রতিবাদে আগামীকাল (রোববার) প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবো। পাশাপাশি এই ঘটনায় মামলারও প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

ছবি ও কার্যালয় ভাঙচুরের ব্যাপারে আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, ‘ওর অফিসে সিসি ক্যামেরা আছে। সুরক্ষিত কার্যালয়। তাকে হামলার ফুটেজ দিতে বলুন। আমাদের ছয়জন কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলছেন, ‘লালখানবাজার আওয়ামী লীগের দুই নেতার অনুসারীদের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত আছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আমরা চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছি। আমরা না থাকলে পরিস্থিতি হয়তো আরো ভয়ানক হতে পারতো।’

শনিবার রাত নয়টা পর্যন্ত কোন পক্ষই মামলা দায়ের করেনি বলে জানান ওসি প্রণব।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!