সাতকানিয়ায় কাঠের ব্রিজ ভেঙে ইজিবাইক খালে, চলাচলে দুর্ভোগ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কনফেকশনারির (বেকারি) মালামাল বোঝাই একটি ইজিবাইক কাঠের ব্রিজ ভেঙে খালে পড়েছে। এতে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক আহত হয়েছেন।

রোববার (২৬ মে) সকালে উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের বাজালিয়া-শীলঘাটা সড়কের বৈতরণী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত ইজিবাইক চালক হলেন মো. রাজিব ওরফে ভুট্টো (২৫)। তিনি পুরানগড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাসিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত জাফর আহমদের ছেলে।

কাঠের ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছেন চলাচলকারী ও এলাকার লোকজন। খালে পানি কম থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মূল ব্রিজের সংস্কারকাজ চলমান থাকায় যানবাহন চলাচলের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে কাঠের ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার পুরানগড় হতে শীলঘাটার দিকে কনফেকশনারি মালামাল বোঝাই একটি ইজিবাইক যাচ্ছিল। ইজিবাইকটি সেতুর মাঝখানে পৌঁছালে ব্রিজটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে। এতে ইজিবাইকটি চালকসহ খালের পানিতে পড়ে যায়।

সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মো. মহিউদ্দিন জানান, কাঠের ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সংস্কার তো দূরের কথা তদারকিও ঠিক মতো করা হয়নি। ঠিকাদার মূল ব্রিজের কাজ করছেন খুবই ধীরগতিতে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে।

উপজেলার পুরানগড় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, মূল ব্রিজটির সংস্কারকাজ চলমান থাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে কাঠের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ঠিকাদার ঢিলেঢালাভাবে কোনো রকমে কাঠের ব্রিজটি নির্মাণ করে দায় সেরেছেন। বিকল্প ব্রিজটি নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও তিনি সেটির সঠিক ব্যবহার করেননি। এছাড়াও প্রায় সময় দেখা যায় শুধুমাত্র ৩-৪ শ্রমিক ব্রিজ নির্মাণকাজে নিয়োজিত থাকেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বর্ষা মৌসুমে চলাচলে স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়বেন।

এ বিষয়ে ব্রিজ নির্মাণকাজের ঠিকাদার দিদারুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দুর্ভাগ্যবশত কাঠের বেইলি ব্রিজটি ভেঙে একটি ইজিবাইক খালে পড়ে গেছে। শ্রমিকরা কাঠের ব্রিজটি সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছেন।

কাজের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাজের গতিতে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে অতিরিক্ত মানুষের কোনো কাজ নেই। এর বাইরে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

গত বছরের আগস্ট মাসে সাতকানিয়া উপজেলার ভয়াবহ বন্যায় পাহাড়ি ঢলে সেতুটির দক্ষিণ প্রান্তের পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছিল। বিগত প্রায় চার মাস আগে সেতুটির সংস্কারকাজ শুরু হয়। বিকল্প চলাচলের মাধ্যম হিসেবে তৈরি করা কাঠের ব্রিজটি সাময়িক মেরামতের পাশাপাশি মূল সেতুর কাজ বর্ষা মৌসুমের আগে শেষ করার দাবি এলাকাবাসীর।

সাতকানিয়ার পুরানগড় ইউনিয়ন (ইউপি) চেয়ারম্যান আ ফ ম মাহাবুবুল হক সিকদার বলেন, কাঠের বেইলি ব্রিজ নির্মাণকাজটি হালকা হওয়ায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঠিকাদার পুনরায় শক্তভাবে ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। আমি স্পটে উপস্থিত থেকে তদারকি করছি।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!