আজ ক্রিকেট ময়দানে মহারণ

ক্রিকেটের একটি ঐতিহাসিক গ্রাউন্ড ‘ওল্ড ট্র‍্যাফোর্ড’ এ দ্বাদশ বিশ্বকাপের ম্যাচ গড়াতে পাক্কা দুসপ্তাহ সময় নিয়েছে। অবশ্য ক্রিকেট মহারণের আয়োজনের জন্য দুসপ্তাহ মোটেই বেশি সময় নয়। ওল্ড ট্র‍্যাফোর্ড আজ পাক-ভারত মহারণের জন্য পুরোদমে প্রস্তুত। এই বিশ্বকাপের নেপথ্য নায়ক বৃষ্টি ছাড়া এই দামামা কেউ থামাতে পারবে না।

বারুদে ঠাসা এমন উত্তেজক ম্যাচে মেধা নয় মাথার জয়ই বেশি হয়। ব্যাট-বলের ছেয়ে বড় অস্ত্র ‘মনস্তত্ত্ব’; এই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে যে দল এগিয়ে থাকবে, তারা খেলাটা তাদের করে নেবে। অতীতের রেকর্ড এহেন ম্যাচের রসদ হতে পারে কিন্তু কবচ নয়। ফেভারিটের তকমাও এখানে অকার্যকর। সমসাময়িক ফর্ম বিচারে ভারত ঢের এগিয়ে থাকলেও খেলাটির নাম ক্রিকেট বলে ফেভারিট ফর্মুলা ফেল করতে পারে।

আজ সার্বিক বিচারে ভারত এগিয়ে থাকলেও দিনটি পাকিস্তানের হলে ভারতের কিছুই করার থাকবে না। আবার দিনটি ভারতের ‘খারাপ’ দিন হলে পাকিস্তান সহজে উতরে যাবে।

ওল্ড ট্র‍্যাফোর্ডে পেস বোলারের সাথে স্পিনও সহায়তা পায়। পাক-ভারত দুদলে ভালো মানের স্পিনার থাকায় ব্যাটসম্যানদের সর্ব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। আমি তিনশো রানের ইনিংস আশা করি না। প্রথমে ব্যাট করে যে কোন দল তিনশো রানের ঘর পেরিয়ে গেলে, সেই সীমা পরে ব্যাট করা দলের পক্ষে পার করা সম্ভব নাও হতে পারে।

হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসার মুনশিয়ানা অস্ট্রেলিয়া আগেও দিখিয়েছে,কাল আবার দেখালো। ২৫ ওভার পর্যন্ত খেলার পুরো নিয়ন্ত্রণ শ্রীলংলার হাতেই ছিল,কিন্তু অস্ট্রেলিয়াতো হাল ছাড়ার দল নয়। ফলে মাঝপথে হেঁই হারা শ্রীলংকাকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় চড়ে বসে।

অবশেষে জয়ের দেখা পেল দ. আফ্রিকা। নয় উইকেটে বিজয় হলেও ১২৭ রান করতে আমলাদের রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে। অন্যদিকে বড় প্রতিযোগিতার মাঠের তাপ ঢের পাচ্ছে আফগানরা। পঁচা শামুকে এখন পর্যন্ত কেউ পা কাটে নি এবং কাটবে বলে মনেও হচ্ছে না।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!