৬ বছর পালিয়ে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ধরল র‌্যাব

৬ বছর পলাতক থাকা মো. ইসহাক (২৭) নামের এক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে ২০১৬ সালে পারভিন আক্তার নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন ইসহাক। ওই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড হলেও দীর্ঘ ছয় বছর বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে ছিলেন তিনি।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের রাউজান সুলতানপুর এলাকা থেকে ইসহাককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭ এর একটি দল। তিনি হাটহাজারীর ফটিকা এলাকার মো. কামাল হোসেনের ছেলে।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বায়েজিদ বোস্তামির রৌফাবাদ বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটিতে ২০১৬ সালের ৫ মার্চ রাতে প্রবাসীর স্ত্রী পারভিন আক্তারের বাসায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে চার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ঢুকে পড়ে। এ সময় আলমিরার চাবি চাইলে পারভিন না দিয়ে চিৎকার শুরু করেন। ডাকাতরা তখন পারভিনের মুখ চেপে ধরে ফ্লোরে ফেলে দেয়। এরপর তাকে হাত-পা বেঁধে রাখে। পরে শাড়ি দিয়ে পারভীনের গলায় ফাঁস দেয় ও মাথায় আঘাত করে বাসার স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল এবং নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পারভিনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পারভিনের স্বামী মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, ওই মামলায় ইয়াসিন, মনসুর ও আবু তৈয়ব ওরফে রানা গ্রেপ্তার হলেও পালিয়ে যান ইসহাক। আদালত তিনজনের উপস্থিতিতে পলাতক ইসহাকসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে ইসহাক কৌশলে বিভিন্ন স্থানে ৬ বছর আত্মগোপন করে থাকেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইসহাক রাউজানের সুলতানপুর এলাকায় অবস্থান করছে জানতে পারি। সোমবার সকাল ৬ টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইসহাক হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!