২ রোগীর সেবায় ১২ ডাক্তারসহ ৩৫ জনের বহর চট্টগ্রামের করোনা হাসপাতালে

মাত্র দুজন রোগী নিয়েই চলছে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকার রেলওয়ে হাসপাতাল! করোনার জন্য বিশেষায়িত ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে সরকারি প্রচুর অর্থ।

জানা গেছে, বিশেষায়িত এ হাসপাতালটি করোনা রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে মাত্র দুজন রোগী ভর্তি রয়েছে এ হাসপাতালে। অথচ করোনা চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে রয়েছে ১২ জন ডাক্তার, ৯ জন নার্স, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আছে ১২ জন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছে ২ জন। মাত্র ২ জন রোগীর জন্য নিয়োজিত রয়েছে ৩৫ জন লোক। এ জনবলের পেছনে প্রতিমাসে খরচ হচ্ছে সরকারের প্রায় ২০ লাখ টাকা।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, করোনা রোগীদের আইসোলেশনের জন্য চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু এখানে ৮০ শতাংশ বেড খালি। শুধু রেলওয়ে হাসপাতাল নয় চট্টগ্রামের আরও অনেক করোনা হাসপাতালে রোগী নেই।

তিনি বলেন, যেসব হাসপাতালে করোনা রোগী নেই, সেসব হাসপাতালে জনবল কমানো হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোরবানি ঈদের পর। আমরা আরও দেখবো। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে ১০০ বেডের আইসোলেশন প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু এতে তেমন সাড়া আমরা পাইনি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডা. সৈয়দ নুরুল আবছার বলেন, এ হাসপাতালে তেমন একটা রোগী নেই। কিন্তু জনবল পর্যাপ্ত রয়েছে। এখানে ডাক্তার নার্স প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ৩৫ জন জনবল রয়েছে। তবে এখানে করোনা রোগী আসে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে। ওখান থেকে রেফার করা হলে সেই রোগী এখানে ভর্তি হবে। বর্তমানে মাত্র দুজন রোগী রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসক অসীম কুমার নাথ বলেন, করোনা রোগীর জন্য প্রস্তুত করা চট্টগ্রামের রেলওয়ে হাসপাতালে রোগী কম, তাতে কোন সমস্যা নেই। কারণ আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। কারণ করোনা ভাইরাসের মহামারি খুব সহসা শেষ হচ্ছে না। আমরা আজকের দিনে বলতে পারছি না কাল কী হবে। সুতরাং কোরবানি ঈদের সময় করোনার প্রাদুর্ভাব আরও বাড়বে কিনা আমরা সেই শংকায় রয়েছি। রোগী বেশি হলে তখন যাবো কোথায়?

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!