১০৫ শনাক্ত সঙ্গী করে চট্টগ্রামে সাড়ে ১৬ হাজার পেরোল করোনা রোগী, মৃত্যু ২৬৫

আবারও একশ’র উপরে করোনা শনাক্ত হলো চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের তিনটি সরকারি, দুটি বেসরকারি এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হয় ১০৫ জনের দেহে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা পেরোল সাড়ে ১৬ হাজার। অন্যদিকে নতুন দুই মৃত্যু নিয়ে প্রাণহানির সংখ্যা এখন ২৬৫।

চট্টগ্রামে ১৬ হাজার ৫২৪ জন করোনা রোগীর মধ্যে নগরের ১১ হাজার ৬৮২ জন এবং উপজেলার চার হাজার ৭৫৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৯০৭ জন এবং করোনার কাছে হার মানা ২৬৫ জনের মধ্যে নগরের ১৮৪ জন ও উপজেলার রয়েছে ৮১ জন।

সোমবার (২৪ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের পাঁচটি ও কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে ৭৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে নগরের ৮০ জন এবং উপজেলার ২৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে করোনায় আরও দুজন মারা গেছেন। সিভিল সার্জনের রিপোর্টে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার কোন তথ্য ছিল না।

সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় ১৭ জন। এর মধ্যে ১৫ জন নগরের বাসিন্দা এবং ২ জন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরের ২৫ জন, বাকি ৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১৩ জনের করোনার পরীক্ষা হয়। তাতে ২৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ১০ জন নগরের এবং ১৫ জন বিভিন্ন উপজেলার।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের দেহে করোনা জীবাণু পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১৫ জন নগরের এবং বাকি ২ জন উপজেলার।

চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি ল্যাবে শেভরণ ল্যাবে ৪৫ জনের নমুনায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ১৫ জনই নগরের এবং ১ জন উপজেলার রোগী।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ২৫ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ১২ জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়। এছাড়া রাউজানে ৪ জন, পটিয়ায় ৩ জন, ফটিকছড়ি সীতাকুণ্ডে ২ জন করে এবং সাতকানিয়া ও বাঁশখালীতে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!